করোনা পরিস্থিতি কারনে লকডাউন সাময়িক শিথিল করার পর দিনাজপুরের হিলিতে কমতে শুরু করেছে পিয়াজের দাম। হিলির আড়ৎগুলোতে প্রকারভেদে প্রতিকেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে। এ সংবাদটি দিয়েছে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন।
করোনা মহামারি কারণে দেশের সকল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিয়াজসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বন্ধ হলে দেশের বাজারে বাড়তে থাকে পিয়াজের দাম। আর পিয়াজ কিনতে এসে বিপাকে পড়তো সাধারণ ক্রেতারা।
তবে চলতি সপ্তাহে রেল যোগে দিনাজপুরের বিরল রেল রুট দিয়ে ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় ইতিমধ্যে হিলিসহ আশপাশের এলাকায় পিয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এখন সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
হিলি স্থলবন্দরের পিয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতির কারনে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভারত থেকে রেলপথে মালবাহী ট্রেনে করে পিয়াজ আমদানি আমরা শুরু করেছি। চলতি সপ্তাহে দুইটি মালবাহী ট্রেনের ৮৪টি বগিতে ৩ হাজার ৩শ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি হয়েছে। আড়ৎগুলোতে পিয়াজের সরবরাহ বেড়ে য্ওায়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি করছি ১৬ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে। আশা করছি আগামী কোরবানী ঈদে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না।
পিয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, রেলপথে ভারত থেকে পিয়াজ আসায় দাম কমতে শুরু করেছে।গত দুইদিনের থেকে কেজিতে ৮টাকা দাম কমেছে। পিয়াজের দাম কমায় এসব পিয়াজ সরবরাহ করা হচ্ছে ঢাকা,বরিশাল, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
0Share