বিবিসি: বাংলাদেশে আইন হওয়ার তিন দিনের মাথায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ খবর দিয়েছে বিবিসি বাংলা। বুধবার পল্টন থানায় ওই মামলাটি করা হয়, যেখানে ফেসবুক ব্যবহার করে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আজ একটি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে সিআইডি।
‘নিজেরা প্রশ্ন তৈরি করে বিক্রি করতো’
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলছেন, ”এই চক্রের প্রধান কাউসার গাজীকে গ্রেপ্তারের পর পুরো চক্রটির বিষয়ে আমরা জানতে পারি।”
“তারা জিজ্ঞাসাবাদে বলছে, যেহেতু তারা প্রশ্ন ফাঁস করতে পারছে না, তাই নিজেদের মতো প্রশ্ন তৈরি করে বিক্রি করতো।” জানান তিনি।
বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে “একশভাগ গ্যারান্টি” দিয়ে তারা শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতারণা করতো বলে মি. ইসলাম জানান।
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে তারা টাকার লেনদেন করতো।
অনেকদিন ধরেই তারা এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ বলছে। সর্বশেষ তারা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির কথা বলে প্রতারণা করছিল, বলছেন মি. ইসলাম।
তিনি বলছেন, গত কয়েক বছরের সাজেশন্স, প্রশ্নপত্র একত্র করে তারা ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করতো। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রচারণা চালিয়ে এসব প্রশ্নপত্র তারা বিক্রি করতো।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে মোবাইল, বিকাশ রেজিস্টার, ল্যাপটপ আটক করা হয়েছে বলে সিআইডি জানিয়েছে।
বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি, উদ্বেগ ও মতামত উপেক্ষা করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল অনুমোদন করে বাংলাদেশের পার্লামেন্ট।
গত ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জানিয়েছেন যে, বিলটিতে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছে। অর্থাৎ বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে।
এরপর এই আইনে এই প্রথম কোন মামলা হলো।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তবে সরকার বলছে, মিথ্যা তথ্য না দিলে সাংবাদিকদের উদ্বেগের কিছু নেই।
0Share