দুই লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ঠিকাদারকে হত্যা চেষ্টায় লক্ষ্মীপুর সদরের দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ মজিবুর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল (চন্দ্রগঞ্জ) আদালতে ঠিকাদার জুয়েল রানা এ মামলা করেন।
বাদীর আইনজীবী মো. লুৎফুর রহমান রহিম গাজী জানান, আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান মামলাটি আমলে নিয়েছেন। এ সময় তিনি বিষয়টি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, দিঘলী ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী গ্রামের ফারুক খাঁন, টিটু ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মাসুদুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও ৫ জন। তারা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মজিবুর রহমানের অনুসারি হিসেবে পরিচিত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স রুবিনা ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে জুয়েল রানা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। সম্প্রতি তিনি এলজিইডির জিএনপি-৩ প্রকল্পের অধীনে দিঘলী ইউনিয়নে ৪৮ লাখ টাকার কার্পেটিংয়ের একটি কাজ পান। শ্রমিকরা সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ করার সময় শেখ মজিব অনুসারিদের নিয়ে এসে তা বন্ধ করে দেন। এ সময় ২৪ দিনের মধ্যে শেখ মজিবকে ২ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।
গত ১৬ মে রাতে লোকজন দিয়ে দিঘলী বাজারে তার ব্যক্তিগত অস্থায়ী কার্যালয়ে ঠিকাদারকে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় গলায় চুরি ধরলে প্রাণ ভয়ে শেখ মজিবকে ৭০ হাজার টাকা দেন ঠিকাদার। দাবি করা টাকা পুরো না দেওয়ায় শেখ মজিবসহ তার লোকজন লাথি-ঘুষিসহ লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও আঘাত করে ঘাঁড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে বলেও মামলায় বলা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মজিবুর রহমান বলেন, ওই কাজটির অফিসিয়ালি কোনো কাজের নির্দেশিকা নেই। ঠিকাদার খামখেয়ালিভাবে কাজটি করছিল। আমার বিরোধী একটি চক্র জুয়েলকে দিয়ে পলিকল্পিতভাবে মামলাটি করিয়েছে।
0Share