বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ভুয়া মেজরসহ দুই প্রতারককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চরমার্টিন মুন্সীরহাট বাজার থেকে পুলিশ তাদেরকে আটক করেন। এরা হচ্ছেন-সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার কলোনীপাড়া এলাকার মৃত জব্বার সর্দারের ছেলে মো. কিছমত হোসাইন (৩২) এবং একই জেলার বাকালীপাড়া এলাকার মৃত মফিজুল সানার ছেলে মো. আসাদুল ইসলাম (৩৩)। এদের মধ্যে কিছমত নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর এবং আসাদ ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় দিতেন।
পুলিশ জানান, আসাদ নিজেকে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় দিয়ে কয়েক মাস আগে উপজেলার চরমার্টিন এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে লিজা আক্তারকে (২০) বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ি আসা-যাওয়ার সুবাধে আসাদ স্থানীয় মুন্সীরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. ইস্রাফিলের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তাকে সেনাবাহিনীর ‘কম্পিউটার অপারেটর’ পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মেজর পরিচয় দিয়ে কিছমতের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। এতে সরল মনে বিশ্বাস করে ইস্রাফিল চাকরি পাওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে সাড়ে তিন লাখ টাকার চুক্তি করেন।
সে অনুযায়ী ইস্রাফিল গত ১২ এপ্রিল আসাদের স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালকের উপস্থিতিতে আসাদকে নগদ ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। বাকী ৫০ হাজার টাকা নিয়োগপত্র পাওয়ার পর পরিশোধ করবে বলে সময় নেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আসাদ মেজর পরিচয়দানকারী কিছমতকে সঙ্গে নিয়ে তার দোকানে যান এবং একটি ভুয়া নিয়োগপত্র তার হাতে দিয়ে বাকী ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু যাচাইয়ে নিয়োগপত্রটি ভুয়া বলে সন্দেহ হলে ইস্রাফিল স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের দু’জনকে আটক করে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসাদ ও কিছমত প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা ছবি ও ভুয়া আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ইস্রাফিল বাদি হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটকদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
0Share