একশ’ পঞ্চাশ পিস ইয়াবাসহ লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের শীর্ষ ইয়াবা সন্ত্রাসী মোঃ ফয়সাল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। শুক্রবার বিকালে র্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নরেশ চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এরআগে বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে আলাইয়ারপুর ইউপির ভবভদ্রী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ফয়সাল ওই গ্রামের আমির উদ্দিন মুন্সি বাড়ির মৃত ফকির আব্দুল মান্নানের পুত্র।
র্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের স্কোয়ার্ড কমান্ডার এএসপি প্রনব কুমার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ভবভদ্রী মুন্সি বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি ফয়সালকে ১৫০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করেন। পরে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ফয়সালের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ দিকে সারাদেশে পুলিশ ও র্যাবের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানের পরও চন্দ্রগঞ্জের বাঁধের গোড়া নামকস্থানের বেদেপল্লীতে এখনো চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। বেদেপল্লীর সামছুল হক হস্কুর পুত্র মোবারক ওরফে হুক্কা (২৫) ও মোতালেব, মৃত নজির উল্লার পুত্র রুবেল (২৫), মৃত নওসার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৭), মাইন উদ্দিনের পুত্র রুবেল ওরফে বিলাই রুবেল (২২) ও মিন্টুসহ বেদেপল্লীতে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী এরা সবাই ইয়াবা, গাঁজাসহ মাদক কারবার চালিয়ে আসছে নির্বিঘেœ।
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই বেদেপল্লীতে মাদকের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দৃশ্যমান তেমন কোনো অভিযান চালায় না। ফলে অনেকটা নিরাপদে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে তারা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘ ২০/২৫ বছর আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেদেসমাজের একদল নারী-পুরুষ এখানে স্থায়ীভাবে তাদের বসবাস শুরু করে। মূলত তাদের পুরনো পেশা সাপ ধরা (সাপুড়ে) ও সাপের খেলা দেখানো। কিন্তু সাপুড়ে পেশার আড়ালে এখন তারা মাদক ব্যবসাকেই মূল পেশা হিসাবে বেঁছে নিয়েছেন। পরিত্যাক্ত সরকারি এই ভূমিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করায় এদেরকে এখান থেকে উচ্ছেদও করা যাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানের মাধ্যমে বেদেপল্লীর মাদক ব্যবসার মূল উৎপাটনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
0Share