নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়পুর: যেদিন মাদক সেবন করতে না পারবে সেদিন শুভ তার পিতা-মাতা ও দাদীর উপর নির্যাতন করেন। প্রায় সময় তাকে বাড়ীর উঠানে ও ঘরের ভিতর দীর্ঘক্ষণ বেঁধে রাখা হতো। গত ছয় বছর ধরে মাদকাসক্ত কিশোর আব্দুল কাদের শুভ (১৯) এ কর্মকান্ড করে আসছে। রোববার বিকালে শুভকে মাদক কিনার টাকা না দিতে পারায় বাবা ও দাদীকে মারধর করে। নিরুপায় হয়ে শুভর বাবা থানায় এসে এ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পুলিশের সহযোগীতা চাইলে সুপারী গাছের সাথে শিকলে বাঁধা মাদকাসক্ত শুভকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সরকারী কলেজের পিছনে মোল্লা বাড়ীতে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় বিল্লাল তার ছেলে শুভর বিরোদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লেংড়া বাজার এলাকার চা দোকানদার নিরীহ বিল্লাল হোসেন জানান, তার তিন ছেলে। বড় ছেলে শুভ দীর্ঘ ৬ বছর লেখা-পড়া বাদ দিয়ে বখাটেপনাসহ মাদক সেবনে আশক্ত হয়ে পড়ে। অনেকবার চেষ্টা করেও এ জগৎ থেকে ফেরাতে পারিনি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে তিন রাস্তার মোড়ে এলাকার বখাটে যুবকদের সাথে মাদক সেবনে মেতে থাকতো সে। রোববার বিকেলে মাদকের টাকা দিতে না পারায় আমাকেসহ তার মা আমেনা বেগম কাজল ও দাদী জাহানারা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে পানির কল ভেঙ্গে ফেলে। পরে নিরুপায় হয়ে সবাই মিলে শুভকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় মাদকাসক্ত কিশোর আব্দুল কাদের শুভ বলেন, আমি অল্প অল্প নেশা করি। আমাকে টাকা না দেওয়ায় মেরেছি। আর মারবো না। আমার মা-বাবাকে বলেন, আমাকে ছেড়ে দিতে।
রায়পুর থানা পরিদর্শক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, বিল্লাল হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে তার মাদকাসক্ত ছেলেকে গাছের সাথে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কারাগারে বা কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হবে তা ওসি স্যারের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
0Share