লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরজগবন্ধু এলাকার আব্দুল আওয়ালের ছেলে জলদস্যু বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ জাহাঙ্গীর ডাকাত (৪০), একই উপজেলার লুধুয়া ফলকন এলাকার আনসার আলীর ছেলে নুর আলম মাঝী (৩৮) ও চরলরেন্স এলাকার শামসুল হকের ছেলে আব্দুর রহিম (৪৭)কে ভোলার জেলখানায় প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের কে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে সোমবার বিকেলে মেঘনা নদীর বিচ্ছিন্ন চর মদনপুরে কোস্টগার্ডের সঙ্গে জলদুস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় কোস্টগার্ডের সদস্যরা দস্যু বাহিনীর প্রধানসহ তিন জলদস্যুকে অস্ত্রসহ আটক করেন।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, মেঘনার দুর্ধর্ষ জলদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা মেঘনা নদীর মদনপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল-এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা কোস্টগার্ডকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একপর্যায়ে কোস্টগার্ডও পাল্টা গুলি চালিয়ে ধাওয়া করে ওই তিন জলদস্যুকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশিয় তৈরি তিনটি পিস্তল, দুইটি রাম-দা ও দুইটি করাত উদ্ধার করা হয়। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের ল্যাফটেনেন্ট এসএম তাহসিন রহমান জানান, দস্যুদের ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে কোস্টগার্ড অভিযানে নামে। এ সময় দস্যুরা কোস্টগার্ডকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে কোস্টগার্ডও পাল্টা গুলি চালায়। কোস্টগার্ড ১২ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের পর অস্ত্রসহ তিন দস্যুকে আটক করতে সক্ষম হয়। কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা ল্যাফটেনেন্ট কমান্ডার আমিরুল হক জানান, এ ঘটনায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
0Share