মোঃ মাহবুবুল ইসলাম ভূঁঞা: সৌদি আরবের আবাহ এলাকার একটি মসজিদে নামাজ আদায়কালে আইএস জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত আফাজ উদ্দিনের লক্ষ্মীপুরের গ্রামের বাড়ীতে চলছে এখন শোকের মাতম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তার পরিবার এখন দিশেহারা। আগত সন্তানের ভবিষ্যত
চিন্তায় আফাজের স্ত্রী বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। স্বজনদের দাবী আফাজের লাশ যেন দ্রুত তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয় সরকার। অবশ্য লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী এ ব্যাপারে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন পরিবারটিকে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের দরিদ্র নূরনবী ছেলে আফাজ উদ্দিন আজাদ পরিবার পরিজনকে একটু ভালো রাখার আশায় দীর্ঘ ৮ বছর পূর্বে পিতার জায়গা জমি বিক্রি করে সৌদি আরব যান। সেখানে আসির প্রদেশের আবাহ শহরে পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন তিনি। গত ৯ মাস পূর্বে ছুটিতে বাড়ী এসে পার্শ্ববর্তী চর মনসা গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে নুর জাহান আঁখির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
৫ মাস দেশে থাকার পর গত ৪ মাস পূর্বে আফাজ তার নব বিবাহিত স্ত্রী ও পরিবার পরিজনকে রেখে বিদেশ চলে যান। আফাজের স্ত্রী নুর জাহান আঁখি এখন ৬ মাসের অন্তঃস্বত্বা। গত বৃহস্পতিবার কাজের ফাঁকে জোহরের নামাজের আদায় করতে পার্শ্ববর্তী মসজিদের গেলে আইএস জঙ্গিদের আত্মঘাতি বোমা হামলায় নিহত হয় সে। এ সংবাদটি শুক্রবার আফাজের এক রুমমেট ফোনে তার ভাই মোসলেহ উদ্দিনকে জানালে তাদের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। ৫ ভাই ১ বোনের মধ্যে আফাজ ছিলেন তৃতীয়। তাঁর পাঠানো টাকায়ই চলত এ পরিবারটির ভরন পোষন। এখন তার পরিবার কি ভাবে চলবে এমনই হতাশার কথা জানিয়েছেন আফাজের স্বজনরা। তাদের দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে আফাজের মরদেহ যেন দেশে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে তাঁরা সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন।
0Share