নিজস্ব প্রতিনিধি: [dropcap]লক্ষ্মীপুর[/dropcap] জেলা ব্যাপী বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হলো। জেলা শহরে একুশে ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১মিনিটে লক্ষ্মীপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। পরে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামীলীগেরনেতৃবৃন্দসহ একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন। এদিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকালে সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তালন, জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজে মাতৃভাষা দিবস পালন উপলে আলোচনা সভা, কালো ব্যাজ ধারণ, র‌্যালি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

[dropcap]রায়পুর[/dropcap] প্রতিনিধি: প্রভাতফেরির পথে পথে কন্ঠে কন্ঠে সেই গান- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী… আমি কি ভুলিতে পারি… এই স্লোগানে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রশাসনসহ সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বুুধবার রাত ১২টা ১মিনিটে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং সরকারি কলেজের শিক্ষকগন এবং সকল সংগঠনের পক্ষ থেকে ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদন চলে। ফুলে ফুলে ভরে উঠছে উপজেলার কেন্দ্রিয় শহিদ মিনার। সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভাষা দিবস নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পনের ভোরে নামে মানুষের ঢল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সর্বস্তরের মানুষের সারি আরও দীর্ঘ হয়। দীর্ঘ লাইনে ফুল আর ছোট ছোট পতাকা হাতে লাইন বেঁধে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় প্রায় ৩ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সব বয়সের, সব শ্রেনি পেশার মানুষকে।
প্রভাতফেরি ও র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেয়র হাজী ইসমাইল খোকন, সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মাহবুবুল করিম, ইউএনও শিল্পি রানী রায়, সহকারী কমিশনার ভূমি, ওসি একেএম আজিজুর রহমান, ওসি (তদন্ত) সোলাইমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন, প্রকৌশলি আক্তার হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা ও এ্যাসেনসিয়াল ড্রাগসের পরিচালক ডা. এহসানুল কবির জগললু, অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান, প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী ও মাহবুবুর রহমান লিটন প্রমুখ।

[dropcap]কমলনগরে[/dropcap] বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। প্রথমে রাত ১২টা ১মিনিটে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্থানীয় সাংসদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র পক্ষে ফুল দেওয়া হয়।

পরে উপজেলা প্রশাসন, কমলনগর থানা, উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জেএসডি), জাতীয় যুবপরিষদ ও বাসদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রভাতফেরি ও হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপকূল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মোতালেবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, হাজিরহাট হামেমিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. জায়েদ হোছাইন ফারুকী, প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম এহসানুল হক, মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুছ, কমলনগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মো. শাহ আলম, হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমীর প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন, উপকূল কলেজের প্রভাষক মো. লোকমান হোসেন, হাজিরহাট হামেদিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাও.মাহবুবুর রহমান ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার হাজী নুরুল ইসলাম প্রমুখসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও কাদিরপুন্ডিতেরহাট ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও জাগরনী স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।