নিজস্ব প্রতিনিধি: ঈদ সামনে রেখে ভেজাল মসলায় সয়লাব হয়ে গেছে জেলার হাট-বাজার। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এই ভেজাল ব্যবসায় মেতে উঠেছে। জানা যায়, ঈদ সামনে রেখে এরই মধ্যে ইট ও কাঠের গুঁড়া মেশানো মসলায় সয়লাব হয়ে গেছে হাট-বাজার।
মরিচের সঙ্গে ইটের গুঁড়া বিষাক্ত রং, হলুদে মোটর ডাল, ধনিয়ায় স’মিলের কাঠের গুঁড়া এবং পেস্তাদানায় মেশানো হচ্ছে সুজি। এক শ্রেণীর প্রতারকচক্র বেশি লাভের আশায় এভাবেই ভেজাল মসলার জোগান দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আর সেই সুযোগে অসাধু দোকানদাররাও এসব ভেজাল মসলা দেদার বিক্রি করছে। উপজেলা সদর ঘুরে মসলা বিক্রেতা ও এইসব মসলা কিনে প্রতারিত হওয়া লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানান।
খবর নিয়ে জানা যায়, ভেজাল মসলা কিনে সাধারণ মানুষ যে শুধু প্রতারিতই হচ্ছে তা নয়, এসব খেয়ে তারা আক্রান্ত হচ্ছে নানা কঠিন ও জটিল রোগে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কৃষক ছামাদ, মান্দারীরর রফিক, রামগঞ্জের জাকির হোসেন, রায়পুরের সুমন জানান, কোরবানির সময় মসলার চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। আর এ জন্যই ঈদ সামনে রেখে ভেজাল ও নিম্নমানের মসলা উত্পাদনকারী চক্র বেশ আগেভাগেই দোকানে দোকানে সরবরাহ করছে যত সব ভেজাল মসলা। বলতে গেলে এখনই হাট-বাজার ভরে গেছে ভেজাল মসলায়।
শুধু খোলা মসলাই নয়, ভেজাল মসলা প্যাকেটজাত করেও খোলাবাজারে সরবরাহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, গোলমরিচ, দারুচিনি, তেজপাতা এবং পেস্তাদানাসহ সব ধরনের মসলায় মেশানো হয় ভেজাল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, ভেজাল মসলা সরবরাহকারীরা সাধারণত তিনভাবে বাজারে ভেজাল মসলা সরবরাহ করে। তার মধ্যে কিছু বিক্রি করে প্যাকেট ছাড়া, কিছু সাধারণ প্যাকেটে করে আর কিছু বিক্রি করে নামি-দামি মসলা কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে। আর এভাবেই প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতাসাধারণ।
তবে রিকসা লক্ষ্মীপুর শহরের রিকসা চালক রফিক বলেন, আমরা হলুদ মরিচ গোটা কিনে নিজেরাই গুড়ো করি ফলে আমরা নিম্ন আয়ের লোকজন অন্তত এ ভেজাল থেকে মুক্ত ।
0Share