লক্ষ্মীপুরে গলা, ঘাড় ও কানের পাশে টেঁটা দিয়ে আঘাত করে মো. মোহন (৭) নামে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ করেছেন শিশুর বাবা নুরুল আমিন। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। এদিকে পুলিশও মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক বলে জানিয়েছে।
শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামের ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
সদর থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চরউভূতি গ্রামের প্রবাস ফেরত নুরুল আমিনের ছেলে মোহন দুপুরের খাবার খেয়ে মাঠে খেলতে যায়।
স্থানীয়রা একটি ধানক্ষেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশ ও পরিবারকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার পুরো শরীর ভেজা ছিল, কান ও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বেঁধেছিল।
নিহত শিশুর নুরুল আমিন বলেন, দুপুরের খাবারের পর সে খেলতে বের হয়ে যায়। বিকেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের মরদেহ দেখতে পাই। ছেলের গলায়, ঘাড় ও কানের পাশে মাছ শিকারের টেঁটার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ধানক্ষেতে মরদেহ ফেলে যায়। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছুই জানি না আমি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করব।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি মর্মান্তিক। রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পরিবারকে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা কিনা স্বাভাবিক মৃত্যু তা বলা যাচ্ছে না। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে। মামলা করা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share