লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জোরপূর্বক, সন্ত্রাসী কায়দায় চাঁদার দাবির অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (২১ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মো. মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হলেন- ১.শাসছুল ইসলাম মামুন (২৬), ২. মো. ইকবাল হোসেন (৩৮), ৩. আবু ওবায়েদ (৩১), ৪. নুরুল ইসলাম (৫৬), এরা সবাই উপজেলার পাটোয়ারীহাট এলাকার বাসিন্দা। এছাড়াও উক্ত মামলায় আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামী করা হয়।
শুক্রবার সকালে বাদীর আইনজীবি মাহবুব রাব্বানী বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য উপজেলা থানা তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট জমা দিতে জানানো হয়েছে।
বাদী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, মেঘনার ভাঙনে সব হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব জীবন যাপন করছি। মামলার ৫ নং সাক্ষী বসত বাড়ী নির্মাণ করার জন্য জমি খরিদ করে।জমিতে বসত ভিটার উপযোগী করে সীমানা প্রাচীর করা হয় । ৫ নং সাক্ষী মহিলা ও একা হওয়ায় আসামীরা বিভিন্ন ঝামেলার সুযোগ নিয়ে মোটা অংকে চাঁদা দাবী করে ।
আমি বাদী তফসিল ভূমিতে গত ১৩ জুলাই বিকেলে বসতি ঘর তুলিতে আয়োজন করিলে ১ নং আসামী তার নিজস্ব ও ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে বাধা প্রয়োগ করে। এবং আবারও সন্ত্রাসী কায়দায় চাঁদা দাবী করে। চাঁদার টাকা দিতে অপরাগত প্রকাশ করিলে ঘটনার ২য় দিন ২০ জুলাই সন্ধ্যায় আসামীরা নিজে ও অজ্ঞাত লোক জনসহ তফসিল ভূমির ৬০ ফুট লম্বা সাইড ওয়াল হাতুরী, সাবাল দিয়ে ভেঙে দেয়। ভূমিতে বসত ঘর তোলার জন্য আনিত সকল মালামাল ও বহন কারী ট্রাকের অংশ বিশেষ রট, হাতুরী দিয়ে ভেঙে পেলে ।এবং ট্রাকের চাকাগুলো ধারালো দা দিয়ে কোপিয়ে কেঁটে দেয় । এতে প্রায় ১০ লক্ষ্য টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এছাড়াও প্রায় সময় মামলার সাক্ষীদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি বাদী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে সুস্থ ও ন্যায় বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়ের করি।
আসামিদের পক্ষে নুরুল ইসলামকে ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা থানা এ এস আই আবদুর রশিদ জানান, মামলাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট প্রদান করা হবে।
0Share