সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর বুধবার , ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লক্ষ্মীপুরে খাসির চাহিদা ব্যাপক কিন্তু...

লক্ষ্মীপুরে খাসির চাহিদা ব্যাপক কিন্তু…

লক্ষ্মীপুরে খাসির চাহিদা ব্যাপক কিন্তু…

নিজস্ব প্রতিনিধি: মেয়ের বিয়ে হয়েছে মাত্র কয়েক মাস। এরই মাঝে এবার প্রথম কোরবানী। তাই মেয়ের জামাই বাড়িতে যত দ্রত খাসি পাঠানো যায় ততই মঙ্গল। এটাই কোরবান ঈদে লক্ষ্মীপুরের একটা বিশেষ সামাজিক রীতি। কিন্তু বিত্তবানদের জন্য এ রীতি তেমন বিষয় না হলেও দরিদ্রদের জন্য জামাই বাড়িতে ঈদের খাসি পাঠানো কষ্টের।এলাকার স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। তাই ঈদুল আযহা বা কোরবানীকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে খাসি ছাগলের বাজার, চাহিদা তাই ব্যাপক।খাসির দামও বেড়েছে বিগত বছরের তুলনায় বেশ কয়েকগুন । ক্রেতা বিক্রেতাদের মতে কোরবানীর চেয়েও জামাই বাড়ির ছাগল ক্রেতাদের কারণে বাজার বেশ গরম।

বৃহস্পতিবার (২৪আগষ্ট) কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে প্রায় ১০ কেজি ওজনের একটি খাসি বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার টাকায়। সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জর ক্রেতা সফিক (ছদ্ম নাম) সেটা কিনেছে মেয়ের জামাই বাড়িতে পাঠানোর জন্য। ওই ক্রেতা জানান গত বছরে একই ওজনের এ রকম খাসি কিনেছেন মাত্র ৭ হাজার টাকায়।

কোরবানীর ছাগলের তুলনায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে জামাই বাড়ির খাসি এমন টা জানালেন হাটের বিক্রেতা নজির। তিনি জানান এ অঞ্চলে আগের দিনে সাধারণ মানুষ ছাগল দিয়ে কোরবান দিতো। কিন্তু এখন সবাই ছাগল কিনছে মেয়ের জামাই বাড়িতে পাঠাতে। এটা যেন এ অঞ্চলের অঘোষিত এক রেওয়াজ হয়ে দাড়িঁয়েছে।

স্থানীয়রা জানান শুধু খাসিই নয়, সাথে আটা/ময়দা, মসল্লা, নারকেল, সুপারি এবং প্রচুর পরিমানে মুদি মাল ও পাঠাত হচ্ছে। গরিব পরিবারে অনেক জামাই শ্বশুর বাড়ি থেকে পাঠানো সে খাসি জবেহ না করে আবার বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। স্থানীয়রা জানান এভাবে এক একটি জামাই খাসি একাধিক বারও বিক্রি হচ্ছে।

ঈদে খাসি ছাগল পাঠানো কে কেন্দ্র করে অনেক পরিবারে নানা কলহ ও তৈরি হচ্ছে। আবার খাসি ছোট বড় কে কেন্দ্র করে নববধূর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো একটি ঘটনা ও ঘটেছে।

স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, আবহমান কাল ধরে চলে আসা বৃহত্তর নোয়াখালী বিশেষ করে লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলমান কিছু সামাজিক রেওয়াজের সাথে বর্তমানে যোগ হয়েছে নতুন কিছু রীতি। কিন্তু এ সকল রীতি নিম্নবিত্ত এবং দরিদ্র পরিবারের জন্য তা ভয়াবহ কষ্টের কারণ হয়ে দাড়াঁচ্ছে। সদর উপজেলার মাদরাসা শিক্ষক মাকছুদের রহমান বলেন, এ অঞ্চলের প্রবাসীরাই সর্বপ্রথম জামাই খাসি রীতি চালু করেন । কিন্তু বর্তমানে সেটা সমাজ কে করুন পরিণতির দিকে ও দাবিত করছে।

ইতোপূর্বে জেলার বেশ কিছু রেওয়াজ ছিল“ইফতারি, ছালামি, আম-কাঁঠালি পাঠানো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে নতুন সংযোজন কোরবানের ঈদে মেয়ের জামাই বাড়িতে ছাগল বা খাঁসি প্রদান।

বহুল প্রচলিত আঞ্চলিক পীড়াদায়ক রীতিটি ইসলামের দৃষ্টিতে কতোটুকু প্রযোজ্য? সেটা নিয়ে ইতোমধ্যে বির্তক শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, অযাচিত এ সংস্কৃতির অতল গহ্বর থেকে এ অঞ্চলের দরিদ্র পরিবার গুলো রক্ষা করা এখনই প্রয়োজন।

লক্ষ্মীপুর নিউজ আরও সংবাদ

রামগতিতে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

সাংবাদিক জিয়া চৌধুরীর বাবা মাহাবুবের রহমান আর বেঁচে নেই

রামগতিতে আদালতের স্থিতাবস্থা মানছেন না অবৈধ ইটভাটার মালিকপক্ষ

গরমের শুরুতে রামগতিতে ভয়াবহ লোডশেডিং, ভোগান্তিতে উপকূলের গ্রাহক

রামগতিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৮ পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই

কমলনগরে চার্টার্ড লাইফের মৃত্যু বীমা দাবি চেক হস্তান্তর

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Ratan Plaza(3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com