নিজস্ব প্রতিনিধি: ইলিশ কিনবেন ? এ সিদান্ত নিতেই মাথায় আসে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট ইলিশ মাছ ঘাটের কথা। ওখানের নিয়মকানুনে অনেকেই ইলিশ কেনে ঠকে যায় বলে বিভিন্ন সময়ে বলতে শোনা যায়।মতিরহাটে নিলামে ইলিশ কিনতে হলে জেলেদের কাছে যা আছে সবই কিনতে হয়। সে নিয়ম অনেকেই বুঝে না। ফলে পড়েন বিড়ম্বনায়। খুুচরো ক্রেতাদের ইলিশ কেনার এ সমস্যা দীর্ঘদিনের।
এ সমস্যা চিন্তা করে দীর্ঘদিন থেকে কমলনগর উপজেলা সদর হাজিরহাটে খুচরো ক্রেতাদের নিকট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।প্রথম দিকে এটি হাজিরহাটের স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আজ তার পরিচিতি কমলনগর অতিক্রম করে পুরো জেলায়।এখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি নদীর ঘাট ছাড়া স্থানীয় বাজারের মধ্যে হাজিরহাট এখন খুচরো ইলিশ ক্রেতাদের মধ্যে ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজারে পরিণত হয়েছে। এখানে খুচরো ক্রেতাদের ভীড় লেগেই থাকে। তাই মধ্যরাতেও চলে ইলিশের কেনাবেচা।এখানে নিলামের কোন নিয়ম কানুন নেই। দুইশ গ্রাম থেকে ২শ মণ ইলিশ ও কিনতে পারেন এ বাজারে।ইলিশ মৌসুমে পুরো বাজারে ইলিশ ছাড়া আর তেমন কিছুই চোখে পড়ে না। তাই প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক ক্রেতা প্রতিদিনকার ইলিশ বাজারের জন্য ছুটে যায় হাজিরহাটে।
মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) সরেজমিনে হাজিরহাট ইলিশ বাজার ঘুরে দেখা যায় রাতেও ইলিশের বাজার জমজমাট দেখা গেছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাতে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলীয় হাট-বাজারে প্রচুর ইলিশ উঠতে দেখা গেছে। দামও ছিল নাগালের মধ্যে; যে কারণে হাটে ক্রেতা সমাগমও ছিল বেশি। রাত ৯টার দিকে হাজিরহাট মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে দেশীয় প্রজাতির কোনো মাছ নেই। ১৫ থেকে ২০ ঝুড়ি ইলিশ। ছোট-বড়-মাঝারি সব সাইজের ইলিশে বাজার ঠাঁসা। দামও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ। এক কেজি ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। দুইটা এক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা।
মেঘনা উপকূলীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে, নদীতে ইলিশ ধরা পড়লে রাতেও হাজিরহাট জমজমাট থাকে। দিনে বিভিন্নস্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীদের চাপে ঘাটে দাম বেড়ে যায়। রাতে ঘাট থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তুলনামূলক কম দামে মাছ কিনে বাজারে তোলেন। বাজার থেকে ক্রেতারাও কম দামে ইলিশ কিনে বাড়ি নেন। ইলিশের হাটে আসা েলক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের এক িচিকিৎসক ঘাটে গিয়ে সুবিধা করতে পারি না। এক রোগীর মাধ্যমে হাজিরহাটের নাম শুনে এখানে এসে ৭টি বড় ইলিশ কিনেছি। দামও ভালো। তিনি জানান ভবিষ্যতে ইলিশের প্রয়োজন হলে এখানেই আসবেন।
তবে দিনের চেয়ে রাতে দাম সস্তা থাকে। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, শহর থেকে আসা ব্যবসায়ীরা ঘাটে থাকলে ইলিশের দাম চড়া থাকে। রাতে বাইরের ব্যবসায়ীরা না থাকায় আমরা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কম দামে কিনে বাজারে উঠাতে পারি। কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ বলেন, অমাবস্যাকে ঘিরে মেঘনা নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। এতে সাগর থেকে ইলিশ ছুঁটে আসছে। যে কারণে ইলিশের হাট এখন রাতেও জমজমাট তাছাড়া নিষিদ্ধ মৌসুম ছাড়া হাজিরহাটে সব সময়ই কমবেশি ইলিশ পাওয়া যায়।
0Share