নিজস্ব প্রতিনিধি: রামগঞ্জ শহর ও উপজেলার বাজারে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা বাজার সংলগ্ন খালে ফেলছেন। এতে পচা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খাল থেকে ময়লা আবর্জনা ও কচুরিপানা পরিষ্কারের জন্য পৌর ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাগিদ দিলেও কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না নেয়ায় উপজেলাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরেজমিন দেখা গেছে, খালে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। পানি প্রবাহ না থাকায় খালে কচুরিপানায় ভরে গেছে। দূষিত পানির কারণে চর্মরোগও দেখা দিয়েছে। রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খালসহ উপজেলার ৪টি খালের রামগঞ্জের অংশ পরিষ্কারের কোনো পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে খালগুলো ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি সময় থাকতে পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে এ খালের আওতাধীন কৃষকরা প্রয়োজনীয় মুহ‚র্তে পানির অভাবে পড়বেন। ফলে এবারো উপজেলার একাংশের কৃষক ফসল উৎপাদনে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হবেন।
জানা গেছে, রামগঞ্জ সোনাপুর বাজার ঘিরে রামগঞ্জ-সোনাপুর-হাজীগঞ্জ খাল, ওয়াপদা খাল, রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি খাল, রামগঞ্জ-চিতোষী খাল প্রবাহিত। যুগ যুগ ধরে এ খালগুলোই অত্র অঞ্চলের কৃষি খাতে পানির চাহিদা মিটিয়ে আসছে। ৯০ দশকের পর থেকে ওই খালগুলোর শহর ও হাট বাজার অংশ দখল শুরু করেন প্রভাবশালীরা। এছাড়া পার্শ¦বর্তী পাউবো খালেরও একই অবস্থা। এ খাল তদারকির জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা নিযুক্ত থাকলেও তিনি রামগঞ্জে অনুপস্থিত থাকেন। গণহারে এ খালের উভয় পাশ দখল অব্যাহত থাকলেও ওই দখল বন্ধে কেনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। একই অবস্থা সিএনবির আওতাধীন রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি খালেরও।
0Share