নিজস্ব প্রতিনিধি: তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়েছে কৃষি ও কৃষকের জীবনযাত্রায়। লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ, রায়পুর এবং লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অতি ঠান্ডায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বীজতলা ও সবজির বাগান। বোরো আবাদে চারা সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। টানা শৈত্যপ্রবাহে লক্ষ্মীপুরে কোল্ড ইনজুরিতে পুড়ে লাল হয়ে মরে যাচ্ছে ধানের বীজতলা। চাষীদের অনেকে বীজতলায় গরম পানি, সার ও কীটনাশক ছিটিয়ে বীজ রক্ষায় চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হচ্ছে না। তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা। ঝরে পড়ছে শস্য ফুল। সবজি বাগানে বেড়েছে ছত্রাকের আক্রমণ। ফলে ইরি-বোরো চাষ পিছিয়েপড়া ও ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বোরো মৌসুমে এবার মৌসুমে ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে এরিমধ্যে নষ্ট হয়েছে এর ৪০ ভাগ। চারা টিকিয়ে রাখতে বীজতলায় পানি দিয়ে পলিথিনে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
আরো পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ঐতিহ্যবাহী দেওয়ানশাহ মেলা শুরু
এদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জানুয়ারি জুড়ে শীত থাকবে দেশজুড়ে। শীত থাকলেও কনকনে ভাব সামান্য কমবে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। কোথাও কোথাও তীব্রতা অব্যাহত থাকবে। এর মধ্যেই আগামী সপ্তাহে একটি শৈত্যপ্রবাহ দেখা মিলতে পারে। তীব্র কুয়াশা আরো বেশ কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। পুরো মাস জুড়েই শীত শীত আবহাওয়া থাকবে। ঘন কুয়াশায় সূর্যের তাপ ভূ-ভাগে পৌঁছতে পারছে না। ফলে দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে না। ফলে এই শীতের মধ্যেই তাপমাত্রা কখনো বাড়বে, কখনো কমবে।
0Share