নিজস্ব প্রতিনিধি: স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এমনকি জেলা পরিষদের মতো প্রতিষ্ঠানের নিকট বার বার সহযোগিতা চেয়ে না পেয়ে শেষে নিজেদের দান অনুদানের খরচে নিজেরাই ইট বসিয়েছেন ঈদুল আযহার দিন। এ কাজে গ্রামের ছেলে বুড়ো সবাই যুক্ত হয়েছেন। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের আদর্শপাড়া সংলগ্ন বেহাল রাস্তায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, আদর্শপাড়া-সৈয়দমৌলবী বাজার সড়কে সংযুক্ত হয়ে দক্ষিণ দিকে নুরানী পাড়ার হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। মাত্র একফুট উচু সড়কটি সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায়। বর্ষা মওসুমে কাদা-পানিতে মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ পোহাতে হয়।কোমলমতি শিশুরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে খুব কষ্ট হয়।মসজিদ সড়কে মুসল্লিদের যাতায়াতও এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সেজন্য বিভিন্ন অফিসে শত চেষ্টা তদবির করেও কোন ফল হয়নি, সহানুভূতি মেলেনি ইউপি বা সরকারের কোন কর্তা ব্যক্তির। তাই হাজারো মানুষের দুঃখ লাঘবে মাঠে নেমেছেন এবার গ্রামবাসি নিজেরাই।
রাস্তা মেরামতের কাজে যোগদানকারি সেনাসদস্য কবির জানায়, “কাঁদার কারনে মানুষ ঈদগাহে যেতে পারবে না, তাই বাধ্য হয় নিজেরা ইট এনে চলিং করছি। “
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বোরহান বলেন, ” দু দিনের জন্য বাড়ীতে এসছি; কিন্তু চলার মত কোন অবস্থা নেই।
তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র রিয়াদুল জানায়, “আমরা স্কুলে যেতে অনেক সমস্যা হয়, জামা, বই, খাতা সব ভিজে যায়।
হাজী মতলব(৭৫) জানান, “রাস্তার প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই”।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার গত বছরের শুরুর দিকে ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার সংস্কার কাজ করেছেন বলে দাবি করেন।
১৯৯৩ সালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সড়কটি নির্মিত হয়। ২০০৪ সালে স্থানীয় শিক্ষক আব্দুল মতিনের প্রচেষ্টায় পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। এরপর দীর্ঘ দেড় যুগেও আর রাস্তার ব্যাপারে কেউ পদক্ষেপ নেয়নি।
সংশ্লিষ্ট (৪নং)ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন বলেন, “হাজারো মানুষে যাতায়াতের সুবিধার্থে সড়কটির সংস্কার খুব জরুরি, প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে কিছু করতে পারছি না। “
0Share