কাজল কায়েস:: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা গ্রামে ‘শেখের কিল্লা’ নামক স্থানটিকে স্মরণীয় করে রাখতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি উঠেছে। এ নিয়ে মানবাধিকারকর্মী আ হ ম ফয়সল বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যও একই দাবি তুলেছেন। এদিকে, সম্প্রতি বেসরকারি এনজিও সংস্থা ডর্প স্থানটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ধরে রাখার লক্ষ্যে ‘শেখের কিল্লা’ নামে একটি স্তম্ভ নির্মাণ করেছে। নতুন প্রজম্ম ও স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে জানার আগ্রহ জাগছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেওয়া আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বাইরে প্রথম রামগতির চর পোড়াগাছায় আসেন।
এ সময় নিজ হাতে ওড়া-কোদাল নিয়ে মাটি কেটে চরের মধ্য দিয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। পরে তিনি সেখানে এক জনসমাবেশে জনগণকে দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। এরপর থেকে ওই স্থানটি স্থানীয়ভাবে শেখের কিল্লা নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এটি রামগতি-সোনাপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত হলেও কোনও স্মৃতিচিহ্ন বা স্তম্ভ না থাকায় নতুন প্রজন্ম এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের পর পোড়াগাছায় ৬০০ একর খাস জমিতে দেশের প্রথম গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতে ২১০ টি নদী ভাঙনকবলিত পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। রামগতির আলেকজান্ডার গ্রামের মানবাধিকারকর্মী আ হ ম ফয়সল বলেন, “পোড়াগাছায় শেখের কিল্লা নামের স্থানটিকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি আকর্ষণীয় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা জরুরি। পাশাপাশি আমরা বঙ্গবন্ধুর পরিদর্শিত ও দেশের প্রথম পোড়াগাছা গুচ্ছগ্রামটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। এতে আগামী প্রজম্ম শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত স্থান সর্ম্পকে জানবে। ” এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “পোড়াগাছায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি। এ জন্য অনুমতি চেয়ে বঙ্গবন্ধু স্ট্রাস্টে আমরা প্রশাসনিকভাবে চিঠি লিখব। এটি নির্মিত হলে নতুন প্রজম্ম বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও তাঁর স্মৃতিতে উদ্বুদ্ধ হবে। “
0Share