লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় শাশুড়ি জাকেরা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ শারমিন আক্তারসহ ৪ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর এ রায় দেন।
২০১৬ সালের ১৪ জুলাই তারিখে উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁশুলি মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ ও তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিরা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।’
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার কালিবৃত্তি গ্রামের মৃত তরিক উল্যার ছেলে মো. জামাল, একই গ্রামের মো. নাজিম ও আন্দার মানিক গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন।
আদালত সূত্র জানায়, নিহত জাকেরা বেগম সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের প্রবাসী রুহুল আমিনের স্ত্রী ছিলেন। তার ছোট ছেলে আবুল বাশার ঢাকায় ইলেক্ট্রিকের কাজ করতো।
স্বামী বাশারের অনুপস্থিতে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার জামালের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে তারা দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। বিষয়টি জানতে পেরে জাকেরা পুত্রবধূ শারমিনকে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কটি বিচ্ছিন্ন করতে বলে। এ নিয়ে শ্বাশুড়ির সাথে পুত্রবধূর বিরোধ দেখা দেয়।
পরে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই মধ্যরাতে নিজবাসার কলাপসিবল গেট খুলে শারমিন অন্যান্য আসামিদের নিজের কক্ষে নিয়ে যান। তাদের কথাবার্তা শুনে ঘুম থেকে উঠে পুত্রবধূ শারমিনের কক্ষে গেলে শ্বাশুড়ী জাকেরা আসামিদের দেখতে পান। এসময় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে জাকেরাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায়।
পরদিন নিহত জাকেরার দেবর খোরশেদ আলম বাদী হয়ে দন্ডপ্রাপ্ত ৪ জনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের দিনই আসামি জসিম উদ্দিনকে তার শ্বাশুড়ি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আসামিরা জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে।
0Share