লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে চোরাই স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ। নোয়াখালীর একটি চুরির ঘটনায় আটক এক নারীর স্বীকারোক্তিতে চন্দ্রগঞ্জের প্রিয়াংকা জুয়েলার্স থেকে প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। তাসলিমা আক্তার রুমকি (৩৫) নামে ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে সুধারাম থানা পুলিশ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জে এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, রুমকি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি প্রাইভেট হসপিটালে নার্সের কাজ করতেন। তিনি গত ১৯ নভেম্বর মাইজদি শহরের বাসিন্দা জাকির হোসেনের বাসা থেকে অভিনব কায়দায় প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করেন। এর মধ্যে প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের প্রিয়াংকা জুয়েলার্সে বন্ধক ও বিক্রি করেন। রুমকিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্ধকী লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও চন্দ্রগঞ্জ বাজারের প্রিয়াংকা জুয়েলার্সের প্রোপাইটর সঞ্জয় ঘোষ চোরাইকৃত ২ ভরি স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখেছিলেন। বাকি ১ ভরি ১৫ আনা স্বর্ণালংকার ওই নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাযথভাবে না দেখেই ক্রয় করেন। জুয়েলার্স দোকানটির সিসিটিভি ফুটেজে ওই নারীকে বিভিন্ন ধরনের গহনা দোকানীর হাতে তুলে দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে প্রিয়াংকা জুয়েলার্সের প্রোপাইটর সঞ্জয় ঘোষের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
এদিকে চন্দ্রগঞ্জ বাজার জুয়েলার্স কমিটির সভাপতি জয়দেব দেবনাথ জানান, চন্দ্রগঞ্জ বাজারে প্রায় ৪৮টি স্বর্ণকার দোকান রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১৫টি দোকান বন্ধকী লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তবে প্রিয়াংকা জুয়েলার্সের বন্ধকী লাইসেন্স নেই বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
চোরাই স্বর্ণালংকার উদ্ধারের ঘটনার পর গুঞ্জন উঠেছে- বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইকৃত স্বর্ণালংকার সহজেই লক্ষ্মীপুর জেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রগঞ্জ বাজারে কেনাবেচা হয়।
0Share