লক্ষ্মীপুর সদরের চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত যুবলীগ কার্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি এই দাবি জানান।
এ সময় হামলা-মামলার শিকার ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজের বাড়িতে গিয়ে তার মা’ ও পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন সালাহ্ উদ্দিন টিপু। এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চরশাহী ইউপির সৈয়দপুর গ্রামের রফিক মার্কেটে অবস্থিত ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু বলেন, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রিয়াজকে তুলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে যুবলীগ কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তাকে না পেয়ে দলীয় কার্যালয়ে থাকা টেলিভিশন, আসবাবপত্র এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয়। আমি যুবলীগের পক্ষথেকে এর তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই পুলিশ প্রশাসনের কাছে। ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় পরিদর্শনকালে স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদের নির্দেশে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রবিন ও আওয়ামীলীগের সদস্য সালাহ্ উদ্দিন স্বপনের নেতৃত্বে যুবলীগ কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে। রিয়াজ বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাকে তুলে নিয়ে হত্যা করা। কিন্তু ঘটনার সময় আমি দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম না। রিয়াজ এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) জাফর আহমেদ জানিয়েছেন, ভাঙচুরকৃত যুবলীগ কার্যালয় মঙ্গলবার সকালে পরিদর্শন করেছি। সেখানে একটি টেলিভিশন ও কয়েকটি আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share