লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের ১৫টি ইউনিট মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় অক্টোবর ও নভেম্বর মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সম্মেলন। দলে অনুপ্রবেশ ও মাদকাসক্তদের ঠেকাতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দিতে হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা ও ডোপ টেস্ট।
১৭ অক্টোবর কমলনগর উপজেলা ও হাজিরহাট উপকূল সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ২৩ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষা ও ডোপ টেস্টে অংশ নিয়েছেন। ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় রয়েছে- বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, ছাত্রলীগের ইতিহাস ও আদর্শ, স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ও সমসাময়িক রাজনীতি।
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ জানান, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে। দেশের ইতিহাস জানে- এ ধরনের ছাত্রদের দ্বারা নেতৃত্ব নিশ্চিতের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। আর কোনো মাদকসেবী যেন কোনোভাবেই নেতৃত্বে আসতে না পারে সেজন্য ডোপ টেস্ট নেয়া হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগে যারা নেতৃত্বে দেবে তাদের হতে হবে মেধাবী ও মাদকমুক্ত।
সম্প্রতি বুয়েট ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি সংকট দেখা দেয়। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ যেভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন করছে এটা দৃষ্টান্তমূলক। সারা দেশে এ পদ্ধতি গ্রহণ করলে মেধাবী ও মাদকসেবীমুক্ত ছাত্রলীগ আগামীর ছাত্র নেতৃত্বে থাকবে।
২০ অক্টোবর চন্দগঞ্জ থানা, ২৯ অক্টোবর রায়পুর উপজেলা, রায়পুর পৌরসভা ও রায়পুর সরকারি কলেজ, ৭ নভেম্বর রামগঞ্জ উপজেলা, রামগঞ্জ পৌরসভা ও রামগঞ্জ সরকারি কলেজ, ১৪ নভেম্বর রামগতি পৌরসভা ও রামগতি সরকারি কলেজ, ২৪ নভেম্বর দত্তপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ২৮ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
0Share