লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু। এদিন দুর্গাদেবীর ষষ্ঠাদিকল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা প্রশস্তা। সায়ংকালে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। এ বছর দেবীদুর্গা দোলায় আগমন করবেন তাই ফল মড়ক। আর ১৪ অক্টোবর সোমবার দুর্গাদেবীর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শেষ হবে। আর দেবী দুর্গা গজে গমন করবেন এবং ফল শষ্যপূর্ণ বসুন্ধারা এমনটি বিশ্বাস করেন সনাতন হিন্দুধর্মাম্বলীরা। আর মাত্র কয়েকদিন বাকী পূজার। দিন যতই এগিয়ে আসছে তত ব্যস্ততা বাড়ছে প্রতিটি হিন্দু পরিবারে। পূজায় সাধ আর সাধ্যের মধ্যে রেখে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের জন্য কিনছে নতুন পোশাক, ঘরসজ্জা ও মেয়েদের জন্য মনোহারী সামগ্রী। এদিকে শরৎ এর আগমনী ধ্বনীর সাথে পূজার আগমনী বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। পূজার আমেজে চারিদিকে সাজ সাজ রব। অন্যদিকে মন্দিরগুলিতে প্রতিমা প্রস্তুতির কাজ চলছে পুরাদমে। ভাস্কররা শেষ সময়ে এসে মনের রং তুলি দিয়ে নিখুঁত ভাবে প্রতিমা সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রতিটি মন্দিরে আয়োজকরা প্যান্ডেল, আলোক সজ্জাসহ উৎসব সুন্দর করতে বিভিন্ন সাজে সজ্জিত করছেন। সূত্রে জানা যায়, এ বছর লক্ষ্মীপুর জেলায় ৭২টি পূজা মন্দিরে শারদীয়া দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। কয়েকটি মন্ডপের আয়োজকরা জানান, পূজার প্রস্তুতি কাজ ঠিকঠাক মতই চলছে। লক্ষ্মীপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু শঙ্কর মজুমদার এ প্রতিনিধিকে বলেন, এখনো কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জল দৃষ্টান্ত লক্ষ্মীপুর। তিনি সকলের সহযোগিতায় সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। লক্ষ্মীপুর সদরের ওসি ইকবাল হোসেন জানান, প্রতিটি পূজা মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপগুলো চিহ্নিত করে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share