আগামী ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এবার রেকর্ডসংখ্যক ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশে নেবে পরীক্ষায়। এদিকে তিন বছরের ব্যবধানে ঝরে পড়েছে পৌনে চার লাখ শিক্ষার্থী। এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ২০১৫ সালের প্রাথমিক সমাপনীতে পাস করে। আলোচ্য বছরে পাস করেছিল ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৪ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে গত তিন বছরে হারিয়ে গেছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ২১১ জন শিক্ষার্থী। সচিবালয়ে পরীক্ষার সার্বিক তথ্য তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আগামী ১লা থেকে ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
সকল পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হবে বলে জানান নাহিদ। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। নাহিদ বলেন, শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। এ ছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এ ছাড়া অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম এবং সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
0Share