লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের উমেদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, যার শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন শতাধিক। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় শিক্ষার আলো ছড়াতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়ের সামনের বিশাল গভীর পুকুরটি নিয়ে বেকায়দায় ছিলো শিক্ষার্থীরা। শিশু শিক্ষার্থীরা পানিতে পড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকতেন শিক্ষকরা, আর অবিভাবকরা থাকতেন দুঃচিন্তায়।
এদিকে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ও শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মাঠ প্রসারিত করার জন্য গভীর পুকুরটি ভরাটের উদ্যোগ নেন। জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে স্থানীয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নুর নবী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় দূর থেকে মাটি পিকআপ ভ্যানে করে এনে গভীর পুকুরটি ভরাটের উদ্যোগ নেয়া হয়। সম্প্রতি মাটি এনে গভীর পুকুরটির অধিকাংশ অংশ ভরাট করে ফেলা হয়।
এদিকে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, এলাকার কিছু ষড়যন্ত্রকারী তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোন ইস্যু খুঁজে না পেয়ে কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে অপঃপ্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে এঘটনায় বিদ্যালয় ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসীর মাঝে এনিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এলাকার রিপন ব্যাপারী জানায়, আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে চেয়ারম্যান মেম্বারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপঃপ্রচার চালানো হচ্ছে। একই এলাকার বাসিন্দা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দেয়া ব্যক্তি আবদুর রব প্রকাশ রোব্বা জানায়, সম্প্রতি তিনি বিদ্যালয়ের পাশে বসে চা খাচ্ছিলেন। এসময় কয়েকজন ব্যক্তি বিদ্যালয়ের মাঠ পুরো ভরাটের জন্য দাবি করার কথা বলে তাকে শিখিয়ে বক্তব্য নেন।
পরে তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছেড়ে দেয়া হয় বলেও তিনি দাবি করেন। ওই বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রের বাবা জানালেন, বিদ্যালয়ের সামনের গভীর পুকুরটির কারণে সন্তানকে স্কুলে পাঠানো নিয়ে তিনি দুঃচিন্তায় থাকতেন। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী এত বিশাল পুকুরটি ভরাটে কার্যকর পদক্ষেপ নেন। ইতিমধ্যে পুকুরটির তলদেশসহ অধিকাংশ ভরাট হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বেশ খুশি হবে বলে মনে করেন তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নুর নবী জানান, এটি মহিলা মেম্বারের প্রকল্প ছিল।
শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিশেষভাবে চেয়ারম্যান জেহাদী মাটি দিয়ে গভীর এপুকুরটি ভরাটের জন্য নির্দেশ দেন। পুকুরের গভীরতা বেশি হওয়ায় পুকুরের অধিকাংশ অংশ ভরাট করতে প্রকল্পের বাহিরেও তিনি নিজে ও চেয়ারম্যান থেকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। আগামী বাজেটে পুকুরের বাকী অংশ ভরাট করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন এই জনপ্রতিনিধি। এদিকে চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী জানালেন, প্রকল্পে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে কঠোর।
207Share