লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে ডাকাতি ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মনির হোসেন হত্যার ঘটনায় ডাকাত দলের চার সদস্যকে লুণ্ঠিত মালামালসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করেছে সিআইডি।
সিআইডি জানায়, গত ১৭ ডিসেম্বর ভোর রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর খুনসহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নয়জন ডাকাতের একটি সংঘবদ্ধ চক্র মনির হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে। ডাকাত দল মই ব্যবহার করে প্রথমে বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে, পরে সিঁড়ির দরজা দিয়ে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। সেসময় বাধা দিতে গেলে সংঘবদ্ধ ডাকাত সদস্যরা মনির হোসেন এবং তার স্ত্রী মিলন বেগমের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মনির হোসেনের মৃত্যু হয়। পরে ডাকাত দল স্বর্ণালংকার, গচ্ছিত টাকা, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পরপরই সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সনাক্ত করেন। পরে সিআইডি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য লক্ষ্মীপুরের মামুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন ডাকাতির কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সিআইডি অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অপর ডাকাত আবুল কালাম আজাদ, ফারুক ও আইয়ুবসহ অন্যদের গ্রেফতার করা হয়।
পরে ডাকাতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নোয়াখালীর একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া আইয়ুবের ঘর থেকে ডাকাতির লুণ্ঠিত মোটরসাইকেল এবং আসামি আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি মামুনুর রশীদের বাসা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এদিকে ডাকাতি ও মনির হত্যার ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৭/৮জনকে আসামী করে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
0Share