জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অপরাধে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের সচিব মোঃ ফিরোজ আলম কে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কমর্চারী চাকুরী বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে প্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি থেকে তা নিশ্চত হওয়া গেছে। এর আগে ৩১ মে সোমবার তাকে বরখাস্তের অফিস আদেশ জারি করে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।
মোঃ ফিরোজ আলম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আবিরনগর গ্রামের আবদুল মালেকের পুত্র। তিনি রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদে সচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। জানা যায়, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। পরে ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে তিনি চর বাদাম ইউনিয়নে সচিব হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
মোঃ ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অতি সম্প্রতি এক সেবা গ্রহিতার থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যাতে দেখা যায় একজন সেবা গ্রহিতা তাকে জন্ম নিবন্ধন করিয়ে দেয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে সেখানে কিছু কম নেয়ার অনুরোধ করছেন। কিন্ত তিনি কম না নিয়ে উল্টো বলছেন, ওই টাকা তিনি নেন না। আরো উপরের লোকজনকে টাকা দিতে হয়।
এদিকে ২০১৭ সালের প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেট থেকে জানা যায়, জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে যে কোন শিশুর জন্ম নিবন্ধন বিনে পয়সা, ৪৫ দিনের পর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা, ৫ বছরের পর জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন ৫০ টাকা, জন্ম তারিখ সংশোধন ফি ১০০ টাকা, বাংলা ও ইংরেজি নামের তথ্য সংশোধন ফি বিনে পয়সায় এবং বাংলা ও ইংরেজি সনদ ফি ৫০ টাকা। কিন্ত অভিযোগ রয়েছে সরকার নির্ধারিত ফি এর বাহিরে বিভিন্ন মানুষ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে ইউনিয়ন পরিষদের কিছু অসাধু সচিব ও তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তা।
558Share