লক্ষ্মীপুরে বসতঘরের সিঁধেল কেটে পরিবারের সদস্যদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধভাবে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এসময় ওই গৃহবধূর স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়ার অভিযোগ করেন ভিকটিমের পরিবার। রোববার ভোররাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সকালে ভিকটিম ওই নারীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
ভিকটিম ও তার পরিবার জানায়, রোববার ভোরে স্থানীয় চরমটুয়া গ্রামে কৃষক আব্দুর রহমানের ঘরে সিঁধেল কেটে প্রবেশ করে সুমন, নাজিম, হোসেন, ইউছুফ ও হারুন নামে পাঁচজন যুবক। এসময় ওই গৃহবধূ, তার শাশুড়ি, ননদ ও ছেলেসহ সবাইকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে তারা। পরে ওই গৃহবধূকে চারজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই গৃহবধূর ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সকালে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, নির্যাতনের অভিযোগ শুনে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। নির্যাতিতা ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, গৃহবধূ এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে শ্লীলতাহানির খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিমকে ঘটনাস্থল পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে মাঠে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানালেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
431Share