লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে মো. মহিম (৪৫) নামে এক অটোরিকশা চালককে তিনদিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলুর বিরুদ্ধে। চেয়াম্যানের পা ধরেও বাবাকে ছাড়িয়ে নিতে পারেনি মহিমের মেয়েরা।
বুধবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টার দিকে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মহিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মহিম তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।
সূত্র জানায়, গত সোমবার (১৩ জুলাই) নিজাম ও কফিল নামে দুইজন যাত্রী মহিমের অটোরিকশায় ওঠে। এরপরই জাহাঙ্গীর নামে আরেক যাত্রী সোনালী ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকা উত্তোলন করে এনে ওই অটোরিকশায় ওঠেন। জাহাঙ্গীর লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কর্মচারী। এর মধ্যে কৌশলে জাহাঙ্গীরের এক লাখ টাকা চুরি করে নিজাম ও কফিল সটকে পড়ে।
অটোরিকশা চালক মহিম অভিযোগ করেন, ঘটনার পর চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলু ইউনিয়ন পরিষদে আটক করে তাকে বেদম মারধর করে। খবর পেয়ে দুই মেয়ে তাকে ছাড়াতে যায়। তখন তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য দুই মেয়ে চেয়ারম্যানের পা ধরে। কিন্তু চেয়ারম্যান তাকে ছাড়েননি। উল্টো তিনদিন ধরে আটকে রাখে।
নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলু বলেন, মহিম চোরদের চেনে। চোর ধরার জন্য তাকে আটক করা হয়। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। আর তিনদিন নয়, বুধবার বিকেলে তাকে ডেকে আনা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, খবর পেয়ে মহিমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
1.2KShare