মাছের প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণে লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা মৎস্য দপ্তর।
গত বুধবার বিকেল উপজেলার বয়ার চর ব্রিজ ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫০ কেজি সামুদ্রিক মাছ আনুমানিক জব্দ করা হয়। পরে, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জব্দকৃত মাছগুলো প্রকাশ্যে নিলাম ডাকের মাধ্যমে ৫ হাজার ৮২৪ টাকায় বিক্রি করা হয়।
এ অভিযানকালে উপন্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম এবং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন। এসময় স্থানীয় ফিশিংবোট মালিক, জেলে ও আড়ৎদারদেরকে আবারও এ বিষয়ে সর্তক করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সাগরে এখন বড় প্রজাতির মাছ লক্ষ্যা, তাইল্যা, গুইজ্যা, বোম মাইট্যা তেমন ধরা পড়ে না। কারণ অপরিকল্পিতভাবে মাছ আহরণ করা হচ্ছে। এখন ওই সব প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম চলছে । তাই সরকার টানা ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিষিদ্ধ সময়ে সাগরে মাছ ধরার কারণে ওই মাছগুলো জব্দ করে নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে।
উল্লেখ্যঃ মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশের মাছের চাহিদা ও প্রজননের স্বার্থে ২০১৫ সাল থেকে কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০-এর ধারা-৩ এর উপধারা-২ এর ক্ষমতাবলে এ নিষেধাজ্ঞা। সমুদ্রে কোনো প্রকার নৌযান দিয়ে যাতে অবৈধভাবে মাছ ধরা না হয় সেজন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌপুলিশ এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ বছর দেশের উপকূলীয় ১৪টি জেলার ৬৬টি উপজেলা আওতাভুক্ত রয়েছে।
মিসু সাহা নিক্কন
3Share