আজ ১৬ জুন দেশ বরেণ্য সাংবাদিক ও সাহিত্যিক মরহুম সানাউল্লাহ নূরীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০১ সালের ১৬ জুন ৭৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুম সানা উল্লাহ নূরীর জন্ম ১৯২৮ সালের ২৮ মে লক্ষ্মীপুর জেলার সাবেক রামগতি (বর্তমান কমলনগর) উপজেলার চর ফলকন(বর্তমান আইয়ুবনগর) গ্রামে।
বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও সাহিত্যের ইতিহাসে নূরীর অবদান চিরস্মরণীয়। তিনি ছিলেন ভাষা সৈনিক। ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের মূখপত্র অর্ধ-সাপ্তাহিক পত্রিকা “ইহসানের” সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্বের মধ্য দিয়ে জনাব নূরীর সংবাদিকতা শুরু হয় । এরপর তিনি এক নাগাড়ে দীর্ঘ ৫০ বছর সাংবাদিকতার জীবনে দৈনিক সংবাদ (১৯৫২-৫৭), দৈনিক আজাদ(১৯৪৮), দৈনিক সৈনিক, দৈনিক নাজাত,দৈনিক ইত্তেফাক(১৯৫৮),মাসিক সওগাত (১৯৬০), দৈনিক বাংলা, দৈনিক গণবাংলা, দৈনিক কিশোর, দৈনিক দেশ, দৈনিক জনতা, দৈনিক দিনকালসহ তৎকালীন অসংখ্য দৈনিকে সম্পাদক, সহযোগী সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৯৭ সালের মে মাসে দৈনিক দিনকালের সম্পাদক থাকাকালীন অবস্থায় অসুস্থ হলে তিনি আর আরোগ্য লাভ করেন নি। অবশেষে ২০০১ সালের ১৬ জুন মাত্র ৭৩ বছরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য গল্প, ছোট গল্প, ছড়া কবিতা এবং উপন্যাস। এ পর্যন্ত তার ৫০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং অপ্রকাশিত রয়েছে আরো ৫০টি পান্ডুলিপি।
তার লেখা “দারু চিনি দ্বীপের দেশে” গল্পটি নব্বইয়ের দশকের মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য আড়োলন সৃষ্টিকারী একটি রচনা ছিল। এছাড়া তার উল্লেখযোগ্য রচনা নোয়াখালীর ভাষায় লিখিত উপন্যাস “আনধার মানিকে রাজকন্যা”,নিঝুম দ্বীপের উপাখ্যান, রোহিঙ্গা কন্যা, ইতিহাস গ্রন্থ বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা, নোয়াখালী-ভুলুয়ার ইতিহাস ও সভ্যতা ইত্যাদি।
0Share