মো: কাওছাৱ, লন্ডন: কোভিডের রোগীদের মাসের পর মাস চিকিৎসা দিয়ে এসেছেন ইৱফান। চার সন্তানের জনক তিনি। প্ৰায় নয় সপ্তাহ কোভিডের সাথে যুদ্ধ করে শেষ করে শেষ পর্যন্ত কোভিডের কাছেই হেরে গেলেন। যুক্তৱাজ্যে সোয়েনডনে গ্রেট ওয়েস্টার্ন হসপিটালে চিকিৎসক ছিলেন ড. ইরফান হালিম।
ড. ইরফানের হাসপাতালের বন্ধুরা বলেছেন, ৪৫ বছর বয়স্ক ড. ইরফান হাজার হাজার রোগিকে সুস্থ করে তোলার পর তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। শুধু নিজেই চলে গেলেন পরপারে।
মৃত্যুর আগে তার স্ত্রী সাইলার বাহুতে ইরফান মাথা রাখেন। তার কানে ভালবাসা ও প্রার্থনার বাণী শুনিয়ে দেন সাইলা। সাইলা জানান মারা যাওয়ার শেষ মূহুর্তে ইরফান দোয়া দরুদ পড়ছিলেন। যখন ব্রিটেনে কোভিডে মৃত্যু হার যখন স্থির ও হাসপাতালে কেউ ভর্তি হচ্ছে না ঠিক এমন সময়ে এই মহানায়ক চিকিৎসকের মৃত্যুতে তার সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ড. ইরফানের স্ত্রী সইলা জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর ইরফান করোনা আক্রান্ত হয়ে সুইনডন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইরফান সুইনডন হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে চিকিৎসা নেন তিনি এরপর লন্ডনের রয়েল ব্রমটন হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে স্থানান্তর করা হয়।
ইরফানের বন্ধুরা জানান, কোভিডের সময় মাসের পর মাস ইরফান তার সন্তানদের কাছ থেকে দূরে থেকেছে। পরিস্থিতি যখন অনেক অনুকূল, মানুষ যখন স্বাভাবিক সময়ে ফিরছে তখনও ইরফান কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলো। সত্যি বলতে ইরফান সত্যিকারের নায়ক। কোভিড যোদ্ধা। যে কিনা এমন মহামারিতেও নিজের দায়িত্ব থেকে পিছপা হয়নি।
হাসপাতালে অসুস্থতাৱ সময় তিনি তাৱ সন্তানদেৱ সাথে ভিডিও কলে দাবা খেলতেন। মিসেস ইৱফান বলেন, সে ছিলো আমাৱ সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমৱা ১৮ বছৱ অত্যান্ত আনন্দে কাটিয়েছিলাম। আমৱা একজন অবিশ্বাস্যভাবে যত্নশীল মানুষকে হাৱিয়েছি। ডা. হালিম ২০০০ সালে গাইস এবং সেন্ট থমাস হাসপাতাল মেডিকেল স্কুল থেকে ভালো ডাক্তাৱ হিসেবে যোগ্যতা অৰ্জন কৱেন।
129Share