কমলনগর প্রতিনিধি: কমলনগর ও রামগতি উপজেলার নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে ১৪ জন জীবিত ফিরেছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরো ২৫ জন। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় কক্সবাজার ও কুতুবদিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে ঝড়ের কবলে পড়ে তিনটি ট্রলার ডুবে তারা নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছেন- রামগতির সুজন গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে আব্বাস (৩৫), ইউসুফ মিয়ার ছেলে আব্বাস উদ্দিন (২১), ইদ্রিস মিয়া (৪৩), বালুরচরের হানিফ ফরাজির ছেলে বশির আহম্মদ (৪৫), হান্নান (৪০), আসলপাড়ার কামাল উদ্দিন (৪৩),মফিজ উদ্দিন (৪০), বসু মাঝি (৫৫), শিক্ষা গ্রামের নোমান উদ্দিন (৩০), বাংলাবাজারের মফিজ উদ্দিন (৪২), মহিজল (৩৮), আমজাদ হোসেন (৪৫), চরপোড়াগাছার সিরাজ উদ্দিন (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর (৪৫), মিরাজ উদ্দিন (৩৮)। নোয়াখালীর চরবাগ্গা এলাকার ইব্রাহিম (৩২) ও সুবর্ণচরের আক্তার হোসেন (২৫)। কমলনগরের খায়েরহাট এলাকার আলমগীর (৪০), জসীম মাঝি (৫৫), ইসমাইল (৩৩) ও সাহাব উদ্দিন (৫০) অন্য নিখোঁজ জেলেদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
বেঁচে ফিরে আসা জেলে মহি উদ্দিন জানান, কমলনগরের মহিউদ্দিন কোম্পানির এফবি হান্নান শরিফ-২ এবং চট্টগ্রামের বেঙ্গল কোম্পানির এফবি মুক্তার মালা-১০ নামের ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরে তারা ২১ জন জেলে চট্টগ্রাম ঘাটে ফিরছিলেন। হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়লে ট্রলার দু’টি ডুবে যায়। পরে অন্য দু’টি ট্রলার এসে তাদের মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করে। অপর ১০ জন নিখোঁজ হন।
এদিকে, উদ্ধার হওয়া অপর এক জেলে মো. বাবুল বলেন, একই দিন মুক্তার মালা নামে অপর একটি ট্রলার ১৮ জন জেলেসহ সাগরে ডুবে যায়। ওই দুর্ঘটনায় তাদের ট্রলারের তিনজন উদ্ধার হলেও আরো ১৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
একই সময় রামগতির হাজী শহিদ কোম্পানির এফবি মা জননী-১ ট্রলারের মাঝি সিরাজ উদ্দিন প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে সাগরে ছিটকে পড়ে নিখোঁজ হন। সিরাজ উদ্দিনের বাড়ি রামগতির গুচ্ছগ্রাম এলাকায় বলে তিনি জানান।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেলোয়ার হোসেন ও কমলনগর ইউএনও মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
0Share