সংবাদদাতাঃ মঙ্গলবার সকালে লক্ষ্মীপুর জেলায় কর্মরত মানবাধিকার ও এনজিও সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল সদর উপজেলার রূপাচরা সফি উল্যাহ উচ্চবিদ্যালয়ের (দাসের হাট) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় এলাকা পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই সময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ভিকটিম ছাত্রীর পরিবার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন ও পৃথক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে সবাই ধর্ষক জামাল হোসেনের সর্বোচ্ছ শাস্তি কামনা করেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায় উক্ত জামাল হোসেন দাসের হাট বাজার কমিটির যুগ্ন সম্পাদক। সে তার স্ত্রীকে প্রায় মারধর করে। ইতিপূর্বে তার শালী সহ অন্যান্য নিকট আত্মীয় মহিলাকে উত্যক্ত করা সহ শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে। তিনি ২টি বিয়ে করেন বলে জানা যায়। এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন থেকে নিরবে তার নানান অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে আসছে।
ঘটনার দিন রূপাচরা সফিউল্যাহ উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির ভোট হয়। ভোটে তার সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হয়। সে পরাজয় মেনে নিতে না পেরে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। এলাকার একটি মহল ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টাও অব্যাহ রেখেছেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন নারী নেত্রী মমতাজ বেগম, সেডো সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী হোসেন চৌধুরী, বাপসা সংস্থার জেলা প্রতিনিধি জোবায়দা বেগম শিল্পী, প্রবাহ মানবাধিকার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, ইসোলপ নির্বাহী পরিচালক নূর মোহাম্মদ। এই সময় প্রতিনিধি দল ভিকটিমের পরিবারকে সহানুভুতি জানান এবং ভিকটিম সুস্থ্য হলে তাঁকে পুনরায় স্কুলে পাঠানোর অনুরোধ জানান।
ম্যানেজিং কটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান, মোঃ নুর নবী ও জামাল উদ্দিন বিপু, অভিভাক খোরশেদ আলম।
আজ সকালে ভিকটিমের সহপাঠীরা ধর্ষকের গ্রেফতারের দাবীতে দাসের হাট বাজার সড়ক অবরোধ করে । সড়ক অবরোধের পাশাপাশি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাশ বর্জন কর্মসূচী পালন অব্যাহত রেখেছে।
এলাকাবাসী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, ভিকটিমের পরিবার ও তার সহপাঠীরা ধর্ষকের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবী জানান, ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান এলাকাবাসী।
0Share