তাবারক হোসেন আজাদ: রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরনে গত ৭০ বছরের পুরনো সড়কের ইট সড়কে লাগিয়েই চলছে সংস্কার কাজ। পুরনো ইট তুলে অন্য স্থানে নিয়ে তা ভেঙ্গে তার সাথে নতুন ইট মিশিয়ে তা ওই সড়কের কাজে লাগাচ্ছে। এতে সংস্কার কাজের মান টেকসই হচ্ছে না এবং দ্রুত সড়কটি পুনরায় বেহালের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা। রায়পুর থেকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত ৪০ কি.মি সড়ক ১১০ কোটি টাকা ব্যয়েসংসংস্কার কাজ করছেন জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অপরদিকে অপরিকল্পিতভাবে কাজ করায় দীর্ঘ যানজটে সীমাহীন দূভোর্গ পোহাচ্ছেন যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্টরা। তবে একাজের দুই ঠিকাদার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে একনেকের সভায় রায়পুর বর্ডার বাজার থেকে সদর উপজেলার গোহাটা থেকে চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত ২৭ কি.মি মোট ১শ ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪০ কি.মি. সড়ক প্রশস্তকরন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। কুমিল্লা জোনের তিনটি অঞ্চলের মহসড়ক প্রশস্তকরনের জন্য ৪শ ৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যার মধ্যে এ সড়কটি রয়েছে। উভয় প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী আ লিক এ মহাসড়কের প্রস্থ ৭ দশমিক তিন মিটার থেকে বৃদ্ধি করে ১০ দশমিক ৩ মিটার করা হবে। একই সঙ্গে সড়কের উভয় পাশে এক মিটার করে মাটির জায়গা রাখা হবে। এতে সড়কের প্রস্থ দাড়াবে ১২ দশমিক ৩ মিটার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জনপ্রতিধি ও ঠিকাদার জানান, সড়ক তৈরি করার অর্থাৎ প্রায় ৭০ বছরের পুরনো ইট সুরকি পৌর শহর এলাকা থেকে বাসাবাড়ি বাজার এলাকা ও রাখালিয়া এলাকায় নিয়ে তার সাথে নতুন ইট মিশিয়ে কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পের শর্ত মোতাবেক কাজ হচ্ছেনা। নিম্ম মানের সামগ্রী ব্যবহারে তদারক সংস্থাকে আরো সক্রিয় হতে হবে।
এ সড়ক সংস্কারের টেন্ডারের কাজ পান (রায়পুর বর্ডার বাজার থেকে লক্ষ্মীপুর সদরের গোহাটা পর্যন্ত) লক্ষ্মীপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডাস, হাসান বিল্ডাস। লক্ষ্মীপুর গো-হাটা থেকে চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের কাজ পান কুমিল্লার সদরের রানা বিল্ডার্সের মালিক মোঃ আলম।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৈাশলী জহিরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, রায়পুর থেকে জেলা সদরের চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের দু’পাশের ঝুকিপূর্ণ গাছগুলো কাটার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেও ঠিকাদাররা রাজস্ব খাতে টাকা জমা না দেওয়ায় তা বিলম্ব হয়েছে। তবে যেখানে গাছ কাটা প্রয়োজন নেই সেখান থেকে ঠিকাদাররা সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করেছেন।
সড়ক সংস্কার কাজের ঠিকাদার আজিজুল করিম বাচ্চু ও ওয়াহেদুল করিম আরজু মোবাইল ফোনে জানান, সড়ক সংস্কার কাজে কোন অনিয়ম হচ্ছে না।
0Share