নিজস্ব প্রতিনিধি: রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (ফিশ হ্যাচারি) সেই ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে। তাকে জেলার রামগতি সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত) সৈয়দ আরিফ আজাদ এক অফিস আদেশে ওই মৎস্য কর্মকর্তাকে আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। সোমবার বিকেলে রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসাদুল বাকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে হ্যাচারিটির বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর “সংকট আর অনিয়মে একাকার রায়পুর মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র” শিরোনামে এবং চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি “সেই মাছের হ্যাচারির অনিয়ম তদন্ত, মামলার প্রস্তুতি” শিরোনামে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে তখন অফিসপাড়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই ফিশ হ্যাচারির সেই ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রশিদ ছাড়া রেণু বিক্রি, বেশি রেণু বিক্রি করে সরকারী হিসেবে কম দেখানো, দরপত্র ছাড়া নির্মাণ-সংস্কার কাজ করানো ও পুকুরে অতিরিক্ত চুন দিয়ে পরিকল্পিতভাবে মা মাছ হত্যার ঘটনাও রয়েছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি এলাকাবাসী অনিয়মের সুনির্দিষ্ট একাধিক তথ্য-প্রমাণসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং ওই মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে মৎস্য অধিদফতর থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের পর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ও ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগের সরেজমিন তদন্ত ও শুনানি করে সংশ্লিষ্টরা। এর আগে ২১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলীর তদন্তে এসে রেণু বিক্রির টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পান। এতে হ্যাচারির সম্প্রাসরণ সুপার ভাইজার মো. কামাল উদ্দিনকে চৌমুহনী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে বদলি করেন।
0Share