নিজস্ব প্রতিনিধি : সন্ধ্যায় নামতেই সমতা সিনেমা হলের বিপরীতে দেওপাড়া গ্রামের ওইপথে মাদকসেবীদের আনাগোনা চোখে পড়ার মত। সুনসান রাতের নিরবতায় বেপরোয়া গতির মটরবাইক আর সিএনজির শব্দে অনেকেরই ঘুম ভাঙে এখানে। দেওপাড়া গ্রাম নামটির ওই অংশে বসবাসকারী অনেক ভদ্রলোক এমনিই পুরনো একটি অপবাদের দগদগে ঘা’ বয়ে বেড়াচ্ছেন। তার উপর নতুন করে ইয়াবা ব্যবসার জন্য খ্যাতি অর্জন তাদের জন্য কতটা সুখকর তা প্রশ্নই রয়ে গেল।
এটা লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের কথা। থানা শহরের কোলঘেঁষে দেওপাড়া গ্রামের অবস্থান। এখানে হাজারো ভালো মানুষের মাঝে গুটি কয়েক খারাপ লোকেরও বসবাস রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, দেওপাড়া গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে মানিক, মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে জহির, মৃত ছিদ্দিক উল্যার ছেলে পান মোবারক। তারা ৩ জনই এখন দেওপাড়া গ্রামে মরণঘাতি ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। স্থানীয়রা জানান, মানিক সম্প্রতি নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী নাছির বাহিনীর প্রধান নাছিরের ডানহাত হিসাবে কাজ করত। অবৈধ অস্ত্রের কারণে ওই এলাকায় কেউ মানিকের বিরুদ্ধে মুখ খোলেনা।
মানিক বেশ কয়েকবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছে। দুর্ধর্ষ প্রকৃতির মানিক চিপচিপে লিকলিকে শরীরে লোক। তারা দেওপাড়ার ওই সমাজে ইয়াবা বিক্রির সাথে এখন অনেক দরিদ্র পরিবারের নারী-শিশুরাও জড়িয়েছে। ভ্রাম্যমাণ ইয়াবা বিক্রি করছে এসব নারী ও শিশুরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে মানিক, জহির, পান মোবারক তাদের মাদক ব্যবসার নৈপথ্যে রাজনৈতিক শেল্টার রয়েছে। স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে জানান, মূলত রাজনৈতিক শেল্টারের খোঁজ পাওয়া না গেলে বা তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা না গেলে ইয়াবাসহ এসব এলাকায় মাদক ব্যবসা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চন্দ্রগঞ্জের এপাড়ে দেওপাড়া, দক্ষিণপাড়ে ভবভদ্রী, উত্তরপূর্ব পাড়ে কোয়ারিয়া এই তিনটি স্পটে মাদক ব্যবসা জমজমাট।
অভিজ্ঞ মহল বলেছেন, নোয়াখালী জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে এবং র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসী।
0Share