কিশোর কুমার দত্ত: বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ২০০৫ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ শহরের বাইপাস সড়কের পাশে নির্মিত হয় এ ভাস্কর্যটি। শ্বেত বর্ণের এ ভাস্কর্যটির গায়ে এখন শেওলা আর ধুলোবালি জমে কালো রঙ ধারণ করেছে। চারপাশ থেকে ঘিরে আছে বিভিন্ন আগাছা। মহানস্বাধীনতার মাসেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী এ ভাস্কর্যটির যথাযথ সংরক্ষণ ও মর্যাদা রক্ষা করার যেন কেউ নেই।
জানা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত রামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্যটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অযতেœ অবহেলায় পড়ে রয়েছে। দেখভালের অভাবে দৃষ্টি নন্দন এ ভাস্কর্যটি শ্রীহীণ হয়ে পড়েছে। শ্বেত বর্ণের এ ভাস্কর্যটির গায়ে এখন শেওলা ও ধুলোবালি জমে কালো রঙ ধারণ করেছে।
এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্যটির বেষ্টনীর ভেতর ও বাহিরে ঘিরে আসছে আগাছা। এতে করে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব গাঁথা বীরত্বের ইতিহাসের মর্যাদাকে অবমাননা করা হচ্ছে। রামগঞ্জ পৌরশহরের পশ্চিম আঙ্গারপাড়া জোড় কবর নামক স্থানের উত্তরে, শিশুপার্ক ও রেস্টহাউজ সংলগ্ন রামগঞ্জের প্রবেশদার বাইপাস সড়কের মোড়ে জেলা পরিষদের জায়গায় এ ভাস্কর্যটির অবস্থান। ২০০৫ সালে তৎকালীন লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের এমপি, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া এ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় ভাস্কর্যটির সামনে নামকরণ ও উদ্বোধনী তারিখ সম্বলিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। পরে জোট সরকারের পটপরিবর্তনের পর ভাস্কর্যটির ভিত্তিপ্রস্তর থেকে একটি কুচক্রী মহল রাতের অন্ধকারে নামফলক খুলে নিয়ে যায়। চারকোণা বিশিষ্ট ভাস্কর্যটির নিচের অংশের উত্তর-পূর্ব অংশের দেয়ালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, পশ্চিম-দক্ষিণ অংশের দেয়ালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিকৃতি রয়েছে। ওপরের অংশে পাথরে খোদাইকৃত ৩ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য দন্ডায়মান রয়েছে। মহানস্বাধীনতার এ মাসেও রামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী বাইপাস মোড়ের এ ‘মুক্তিযোদ্ধা’ ভাস্কর্যটির যথাযথ সংরক্ষণ ও মর্যাদা রক্ষার যেন কেউ নেই।
0Share