জুনাইদ আল হাবিব : উপকূলের পড়ুয়াদের জ্ঞান ও সৃজনশীল মেধাবিকাশ সংগঠণ আলোকযাত্রা দলের উদ্যোগে হাসি ফুটলো লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনাপাড়ের শিশুদের মুখে। ঈদের নতুন পোশাক পেয়েছে মেঘনাপাড়ের বিপন্ন পরিবারের শতাধিক শিশু। নদীভাঙা হতদরিদ্র পরিবারের এ শিশুদের ঈদ কাটবে নতুন জামায়। এদের অনেকেই এর আগে কখনোই ঈদ উৎসবে নতুন কাপড় পায়নি।
আলোকযাত্রা দলের উদ্যোগে সংগৃহীত অর্থে ঈদের জামা কিনে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের তালতলি বাজারে শতাধিক শিশুর মাঝে বিতরণ করা হয়। প্যাকেট ভরা নতুন জামা পেয়ে অসহায় শিশু নিরব, মোকতার, আসমা ও শুকুরা অনেক খুশি হয়েছে। ঈদ সামনে রেখে ওদের মুখে হাসি ফুটেছে। ঈদে নতুন জামার বায়না পূরণ করে দিল আলোকযাত্রা দল।
মেঘনাপাড়ে ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রধান প্রফেসর মাহবুবে এলাহী সানি, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক খালেদ মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ, পশ্চিম চর লরেন্স মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক নুর হোসেন পারভেজ, পুলিশ সদস্য ইসলাম রুবেল, সমাজকর্মী সাইফুল আলম মাছুম, আলোকযাত্রা দলের জাহিদ হাসান তুহিন, ফজলে রাব্বি রবিন, ফয়সাল মাহমুদ, আবদুস ছোবহান, মো. ইয়াসিন প্রমূখ।
নদীভাঙন কবলিত কমলনগরের মেঘনাপাড়ের ওই শিশুদের জন্য ঈদের পোশাক বিতরণের উদ্যোগ এটাই প্রথম। আলোকযাত্রা লক্ষ্মীপুর ও হাজীরহাট দল এই উদ্যোগ গ্রহন করে। আলোকযাত্রা লক্ষ্মীপুর দলের দলনেতা-১ লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজেন ছাত্র জুনাইদ আল হাবিব শিশুদের নতুন জামা কিনতে সহযোগিতা চেয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট দেন। লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক হুমায়রা বেগম ওই পোস্ট দেখে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে টাকা দেন। আরও অনেকে এর সঙ্গে যুক্ত করেন অনুদান। এভাবে মেঘনাপাড়ের শতাধিক শিশুকে ঈদবস্ত্র দেয়ার অর্থ যোগাড় হয়ে যায়।
জুনাইদ বলেন, ‘ফেসবুক পোস্ট দেখে জেলা প্রশাসক টাকা দেওয়ার পর আমার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। পরে ফেসবুক ও মোবাইলে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে পরিচিত আরও কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও সহযোগিতার হাত বাড়ান। সকলের সহযোগিতায় মেঘনাপাড়ের শিশুদেরকে নতুন জামা কিনে দিতে পেরে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে’।
0Share