রায়পুর প্রতিনিধিঃ ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউছুফকে রায়পুর থানার এএসআই নুরুল আমিন লাঞ্চিত ও গালাগাল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও আদালতের রায় নিয়ে উচ্ছেদের নামে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে মাসুদ নামে এক ব্যাক্তি নিরিহ দুই পরিবারের বাড়ীতে তান্ডব, তিন লাখ টাকার মালামাল লুটপাট ও শিশুসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কেরোয়া গ্রামের ব্রাক অফিস সংলগ্ন শামছুল হক মাস্টারের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে এঘটনায় বিকেলে রায়পুর শহরের গাজী কমপ্লেক্স সংলগ্ন একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টে হকার্স সমিতির নেতা মোঃ ইউছুফ ও ক্ষতিগ্রস্ত জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের লোকজন সংবাদ সম্মেলন মাধ্যমে ওই এএসআইর ও অভিযুক্ত মাসুদের বিচার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা জানান, গত চার বছর ধরে ১২ শতাংশ জমি নিয়ে কেরোয়া গ্রামের নিরিহ জাকির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন গংদের সাথে একই এলাকার প্রভাবশালী মাসুদ গংদের আদালতে মামলা চলে আসছিল। মঙ্গলবার দুপুরে সৈয়দ আহম্মদের ছেলে মাসুদ ড্রাইভারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের স্বসস্ত্র বহিরাগত যুবকদের নিয়ে নিরিহ মোঃ জাকির ও দেলোয়ারের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় তারা জাকির ও দেলোয়ারের ভবন ভাংচুর, আলমারিতে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিলে ১০ মাসের শিশু আজমিরকে ঘরের থেকে উঠানে নিক্ষেপ করে, আছিয়া বেগম (১৮), আরজু আক্তার (১৯), রোকেয়া বেগম (৬৫) ও ফাতেমা বেগম (৪২)সহ ৮জনকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় একই বাড়ীর বাসিন্দা ও ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউছুফ ভাংচুর ও লুটপাটের কারন জানতে চাইলে লাঞ্চিত ও গালমন্দ করে রায়পুর থানার এএসআই নুরুল আমিন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী মাসুদ ড্রাইভারের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। রায়পুর থানার এএসআই নুরুল আমিন জানান, আদালতের নির্দেশে বাদি মাসুদের সাথে ওই এলাকায় যাই। আইনশৃংখলা রক্ষার স্বার্থে উচ্ছেদ চালাতে গেলে ভুল বসত হকার্স সমিতির নেতা র গায়ে ধাক্কা লাগে।
0Share