নিজস্ব প্রতিনিধি:: রামগতিতে ফাতেমা তুজ জোহরা (মেঘলা) নামের এক কলেজ ছাত্রী হত্যা মামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসীর দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আ.স.ম আবদুর রব সরকারী কলেজ প্রাঙ্গন থেকে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে রামগতি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে গিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ সময় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রামগতি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও আসম আবদুর রব সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি মেজবাহ উদ্দিন হেলাল, কলেজ শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন, জোবায়েদ হোসেন বাপ্পী, হাসিবুল ইসলাম আজাদ, রাকিব হোসেন, সাইফুদ্দিন বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কলেজ ছাত্রী মেঘলার হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে ফাঁসী নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান। মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, এনজিও সংগঠনসহ সাধারন মানুষ। ফাতেমা তুজ জোহরা আ.স.ম আবদুর রব সরকারী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মানববন্ধন শেষে রামগতি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেনকে স্মারকলিপি প্রদান করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, ঘটনার সাথে জড়িত শ্বশুর শাহজাহান মাষ্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় রামগতি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সবুজ গ্রাম এলাকায় স্বামীর বাড়িতে যৌতুক না দেয়ায় কলেজ ছাত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা মেঘলাকে পিটিয়ে হত্যা করে স্বামী এনামুল হকসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে তার লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আতœহত্যা বলে এলাকায় প্রচারনা চালায় তারা। এ ঘটনায় পরের দিন নিহতের বাবা শহীদুল হক টিটু বাদী হয়ে রামগতি থানায় ৪জনের নাম উল্লেখ করে আরো তিনজনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় নিহতের স্বামী এনামূল হক,শ্বশুর শাহজাহান মাষ্টার ও শ্বাশুড়ীসহ ৭জনকে।
0Share