শরীফ ইবনে আবদুল কাইয়ুম, রামগতি:: রামগতি থানার প্রাণকেন্দ্র আলেকজান্ডার বাজার। এই নগরী দীর্ঘ দিন ছিলো বিভিন্ন কারণে অবহেলিত এবং নদী ভাঙনের হুমকির মুখে। আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন সাহেবের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকায় রামগতিতে সবচেয়ে ব্যায়বহুল গণ মানুষের আকাঙ্ক্ষিত “মেঘনা নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প” বাস্তবায়িত হয়। আলেকজান্ডার বাজার এখন নদী ভাঙনের হুমকি থেকে অনেকাংশে আশংকা মুক্ত।আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মেঘনা নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি। এ প্রকল্প এলাকাবাসীর মনে আস্থার সৃষ্টি করেছে। সরকারি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে চারদিকে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলা শহর কেন্দ্রিক বহু স্থাপনা ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছে, আরো বেশকিছু স্থাপনা নির্মাণাধীন রয়েছে।। ব্যবসা বানিজ্যে গতি সঞ্চারের পাশাপাশি একসময়কার অবহেলিত এই জনপদ নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ছে কয়েকগুণ। জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। সব মিলিয়ে দীর্ঘ দিনের হতাশা কাটিয়ে এক নতুন স্বপ্নে বিভোর আমরা রামগতিবাসী। শেষ অবধি টিকে থাকার আশা নিয়ে জেগে উঠেছে দেশের দুর্গম জনপদ সম্ভাবনাময়ী রামগতির লাখো মানুষ ।
কিন্তু সামান্য সমস্যা এই সমৃদ্ধির পথে বিশাল বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। শুধুমাত্র যোগাযোগব্যবস্থার অচল অবস্থার ফলে স্থবির হয়ে পড়ছে উন্নয়নশীল প্রাণের রামগতি। প্রান চাঞ্চল্যতা হারিয়ে দুর্বিষহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে নগরীতে। ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই জনপদের প্রতিটি মানুষ। প্রায় সব কয়টি রুটেরই বেহাল দশা- অনেকটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আলেকজান্ডার। আলেকজান্ডার টু সোনাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের “নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পে”র নিচে চাপা পড়ে যাওয়া অংশের পরিবর্তিতে মান সম্পন্ন সড়ক নির্মান না হওয়ায় যেমনি অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তেমনিভাবে অন্যান্য রুট গুলোর ও ভয়াবহ করুন অবস্থা। অধিকাংশ প্রধান সড়ক গুলো গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার কারণে বিকল্প সংযোগ সড়ক গুলোতে বাড়তি গাড়ির চাপের ফলে এইগুলো ও যানবাহন চলাচলের উপযুক্ততা হারিয়ে ফেলেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছ – অবশিষ্ট আর একটি রাস্তাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা হয়তো যেটা দিয়ে নির্বিঘ্নে স্থানীয় শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যাবে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণে। এই পরিস্থিতিতে “নদী ভাংগন প্রতিরোধ প্রকল্পে”র মত উপকারি বিশাল প্রকল্পের সফলতা ম্লান করে দিচ্ছে। অন্যদিকে শতকোটি টাকা খরচ করেও ইমেজ ক্রাইসিসে পড়তে হচ্ছে সরকার কে বিশেষ করে স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের । তাদের জন্য এটা বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে বলে মনে করেছেন স্থানীয়রা।। হাজার হাজার মানুষ যারা দেশব্যাপী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প দেখে অভ্যস্ত, তারা দুষছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের। প্রশ্ন তুলছেন তাদের আন্তরিকতা দক্ষতা যোগ্যতা নিয়ে। বিশেষ করে দূর দুরান্তের “আলেকজান্ডার মেঘনা বিচে”র সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা মানুষেরা। তাদের প্রশ্ন এই এলাকায় কি ভালো কোনো সুযোগ্য নেতা নেই।থাকলে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এই বেহাল অবস্থা কেন? তাদের উদ্দেশ্য – আমাদের ভালো নেতাদের সক্ষমতা থাকার কারণে “নদী ভাংগন প্রতিরোধ প্রকল্পে”র মতো বৃহৎ প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। তাদের উপর আমাদের আস্থা অবিচল। তারা নিশ্চয়ই নিরলসভাবে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।আশা করি সেই চেষ্টায় অতি শীঘ্রই সফল হবেন। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতিসাধনের ফলে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে আমার রামগতি।
লেখক: ব্যবসায়ী আলেকজান্ডার বাজার, রামগতি
0Share