জিল্লুর রহমান: ৬ আগষ্ট ঘোষিত হলো বিএনপির কেন্দ্রীয় পূর্নাংগ কমিটি, এতে স্থান পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের ৮ জন নেতা। আলোচিত নেতাদের মধ্যে সাবেক সাংসদ আবুল খায়ের ভুইয়া, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ও সাংসদ শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, রামগতির সাবেক সাংসদ আশ্রাফ উদ্দীন নিজান অন্যতম। এছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাহাব উদ্দীন সাবু ও সাবেক আমলা ইসমাইল জবিউল্লাহ, শফিউল বারী বাবুর মতো সাবেক ছাত্র নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ্যানী চৌধুরীকে দল যথাযথ সম্মান দেয়নি, এ্যানী যখন ছাত্রদলের সভাপতি তখন সোহেল ছিলো সাধারন সম্পাদক, হাবীবুন নবী সোহেলকে যুগ্ম সম্পাদক করলেও এ্যানী কে করা হয়েছে প্রচার সম্পাদক।
অন্যদিকে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুলত একটি সম্মানজনক পদ, এটি কোন নির্বাহী বা সাংগঠনিক দায়িত্ব নয়, এই পদে জবাবদিহিতাও নেই, বিএনপিতে দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ খায়ের ভুইয়াকে এই সম্মান জানানো হয়। লক্ষ্মীপুরের বিএনপির আরেক আলোচিত নেতা জিয়াউল হক জিয়া রয়েছেন উপেক্ষিত। আশ্রাফ উদ্দীন নিজান সহ সম্পাদক হিসেবে নির্বাহী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন, সহ শিল্প সম্পাদকেত মতো গুরুত্বহীন পদ নিয়েই তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজেদের পদ ও পদবি নিয়েও বিব্রত আছেন এই সব নেতারা। আবুল খায়ের ভুইয়া লক্ষ্মীপুরের রাজনীতিতে নিজের অবস্থানকে কিছুতেই ছাড়তে চান না বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের স্থানীয় একজন নেতা। এ জন্য ঢাকা মহানগরির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও তিনি তা গ্রহন নাও করতে পাতেন।
বিগত উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে চরম বিতর্কের মধ্যে পড়ে বিএনপির লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটি, প্রকাশ্যে না হলেও দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন জেলা সভাপতি খায়ের ভুইয়া এবং সেক্রেটারি সাহাব উদ্দীন সাবু। এই দুজনকেই আগামী জেলা কমিটতে না রাখা হতে পারে এটি অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন দলের একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র। দলের তৃনমুলে লক্ষ্মীপুরে বিএনপির রাজনীতি নিয়েও রয়েছে হতাশা। সব মিলিয়ে বিএনপির এই সব নেতারাও এখন হতাশায় আছেন। যদিও এই বিষয়ে এখনি তারা মুখ খুলছেন না।
জেলা কমিটির সেক্রেটারি সাহাব উদ্দীন সাবুকেও এক অর্থে জেলার রাজনীতি থেকে দুরেই সরিয়ে দেয়া হলো। এর পেছনে আবুল খায়ের ভুইয়ার হাত আছে বলে সন্দেহ করছেন সাবুর ঘনিষ্ঠজনেরা। অন্যদিকে সাবেক আমলা ইসমাইল জবিউল্ল্যাহকে কেন কমিটিতে রাখা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তিনি কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কোন পর্যায়েই বিএনপির কর্মকাণ্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত নন। এরপরও লক্ষীপুরে বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে ভবিষ্যতে কি পরিবর্তন আসবে তা দেখার অপেক্ষায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট সুধীজনদের।।
লেখক: সম্পাদক,দৈনিক সময়ের আলো।
0Share