নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের প্রায় ৪ দিন পূর্ব থেকে ঈদ পর্যন্ত বিভিন্ন গণপরিবহন যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন তিনগুন বা ইচ্ছা মতো ভাড়া আদায় করেছে।৩ জুলাই ঈদের ছুটির পর ৭ দিন। সরকারি বেসরকারি সব জায়গায় ঈদের ছুটি শেষ, ঈদ শেষ কিন্তু গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের যেন ঈদ শেষ নেই।ঈদের নামে এখনো দ্বিগুন তিনগুন ভাড়া। প্রতিদিনই যাত্রীদের হাজারো অভিযোগ। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ছাড়া আর কাহারো এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ চোখে দেখা যায়নি।যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বেশ কয়েকটি বাসে দু দফায় জরিমানা করেছেন। তবুও থামছে না গলাকাটা ভাড়া। এর পিছনে রয়েছে বড় বড় শক্তির হাত। তাই তিনি অনেকটা ক্ষোভে নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের ঈদ শেষ হওয়ার নয় রোজার ঈদ কোরবানির সময় আর কোরবানির ঈদ রোজার সময় শেষ হওয়ার মতো অবস্থা । লক্ষ্মীপুরে ঈদের সাতদিন পরও যাত্রীদের নিকট থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিআরটিএ, লক্ষ্মীপুর এর কোন পদক্ষেপ নেই। মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের ক্ষমতাধর নেতারাও নির্বিকার। তাদেরকে বার বার বলেও কোন কাজ হয়নি। জেলা প্রশাসন ছাড়া অন্য কারো এ ব্যাপারে মাথা ব্যথা পরিলক্ষিত হয়নি। খেটে খাওয়া মানুষ আপনজনের সাথে বাড়িতে ঈদ করতে আসাটাই যেন অপরাধ হয়েছে ! এদেশে গরীব মানুষের কোন ভয়েস নেই। তাই তাদের পক্ষে কথা বলারও কেউ নেই।
কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে তার সে স্ট্যাটাসে প্রায় ৮শ লাইক এবং প্রায় ২ শতাধিক কমেন্টস পড়ে। সকল নাগরিকই তাকে স্বাগত জানিয়ে এবং মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের কে ঘৃনা করে করে প্রতিক্রিয়া জানায়।
জানা যায়, ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনো লক্ষ্মীপুর থেকে কর্মমুখীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ শহরমুখী ফিরছেন। যানবাহনে লক্ষ্মীপুর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গমনকারি যাত্রীদের অত্যধিক চাপ। আর এই সুযোগ কে যাত্রীদের জিম্মি করে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর থেকে ঢাকাগামী ইকোনো পরিবহন, ঢাকা এক্সপ্রেস, গ্রামীণ পরিবহন, জোনাকী পরিবহন ও এসিবাস রয়েল পরিবহন সরকার কর্তৃক ভাড়া চেয়ে দ্বিগুণ হারে বাস ভাড়া আদায় করছে। ইকোনা পরিবহন ও ঢাকা এক্সপ্রেস ৩৬ সিটের কথা বলে ৫৫০ টাকা করে বাস ভাড়া নিচ্ছে। আর গ্রামীণ পরিবহন ,জোনাকী পরিবহন ৫২ সিটের গাড়ি ৫০০ টাকা করে বাস ভাড়া নিচ্ছেন, এসি বাস রয়েল এখন ৫০০ টাকার স্থলে ৭০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন।এক দুদিন না টানা ১০ দিন ঈদের নামে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের এ নৈরাজ্য।
0Share