সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
জাগো নারী জাগো

জাগো নারী জাগো

0
Share

জাগো নারী জাগো

নাসরিন সুলতানা শ্যামলী:: একসময় পুরুষশাসিত সমাজ ছিল। নারীদের কোন সামাজিক অধিকার ছিলনা। ছিলনা সম্মান এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা। গুমরে গুমরে মরতে হতো পুরুষের পদতলে পিষ্ট হয়ে। একটা সময় কেউ কেউ এটিকে নিয়তি ভেবে মেনে নিত। ঐ সব আশাহত ঝিমিয়ে পড়া নারীদের জন্য আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রজ্জ্বলিত লণ্ঠন হাতে এগিয়ে আসেন এমন একজন নারী যার নাম বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে ধীরে ধীরে নারীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে থাকে। শুরু হয় নারী জাগরণ। নারীরা ঘর থেকে, পুরুষের শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসে। পুরুষের পাশাপাশি নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য এবং দেশের কল্যাণে ও উন্নয়নে অবদান রাখতে শুরু করে। তারা অধিকার সচেতন হয়েছে এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা-দীক্ষায়। কিন্তু তারপরও মুক্ত হতে পারেনি কিছু পুরুষ নামধারি নরপিচাশের কবল হতে। বিশ্বায়নের যুগেও এদেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির ও মূল্যবোধের তেমন কোন পরিবর্তন ঘটেনি।

নারী নির্যাতন:

আমি আগেই উল্লেখ করেছি যে, সমাজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ঘটার পর ও অবত্তগত দিকের এতটা উন্নতি ঘটেনি। ফলে বন্ধ হয়নি নারী নির্যাতন। এখন নির্যাতনের প্রক্রিয়া ভিন্ন প্রায়ই সংবাদপত্রে, টিভিসহ অন্যান্য মিডিয়াতে খবর আসে বধু নির্যাতন হত্যা, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, ইভটিজিং, পাচার সহ ইত্যাদি অপকর্মের। নারী নির্যাতন দৈহিক বা মানসিক দুইই হতে পারে। দেখা যায় যে, স্কুল কলেজের মেয়েরা এবং গার্মেন্টসে কর্মরত নারী শ্রমিকরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বখাটে সন্ত্রসীদের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ার ফলে অ্যাসিড দগ্ধ হতে হয়। তুচ্ছ কারনে নারীকে সংসারে প্রহার করা, তালাক দেয়া নিয়মিত ঘটনার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যৌতুকের বলী হয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের কবলে পড়তে হচ্ছে। এমনকি করুনভাবে মৃত্যু ও ঘটছে। বিদেশীদের মনোরঞ্জনের দাসী হিসেবে ও অনেককে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।

নারী নির্যাতনের চিত্র:

গবেষনা প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন অন্বেষন’ গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একটি গবেষনা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে ২০০৮ সালে নারী নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটেছে, ২০১২ সালে ঘটছে তার চেয়ে বেশী।

২০০৮ সালে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ৮৮টি। ২০১২ সালে নভেম্বরে গিয়ে তা দাঁড়িয়েছে ৯৭টি। অর্থাৎ অ্যাসিড নিক্ষেপের হার বেড়েছে ১০.২%।
২০০৮ সালে যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে ২৬৯টি। ২০১২ সালে ঘটছে ৭৭১টি। অর্থাৎ ৪৬.৬৫% বেড়েছে।
২০০৮ সালের তুলনায় ২০১২ সালে ধর্ষণের হার বেড়েছে ১৬.৮৫% বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৫.৬১৬ জন নারী বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ৬৬২ জন, অ্যাসিড দগ্ধ হন ৬৭ জন।
বিগত বছরের ঘটনার আলোকে নারীর প্রতি সহিংসংতার কিছু তথ্য:

১। ২০১৫ সালে যশোরের মার্শায় এক বখাটে কর্তৃক সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেম নিবেদনে ব্যর্থ হয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। সূত্র দৈনিক আমাদের সময়, জুলাই ২৩, ২০১৫।

২। এক গৃহবধুকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে লেবাননে নেয়া হয়। লেবানন এয়ারপোর্ট থেকে ঐ গৃহবধুকে ঐ দেশের নিষিদ্ধ পল্লীর ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে দেয়া হয়। সূত্র দৈনিক সংবাদ, ২৮ মে ২০১৫।

৩। টঙ্গির জামাই বাজার এলাকার একটি বাসায় যৌতুকের জন্য স্বামী চাকু দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে স্ত্রীর চোখ তুলে তাকে বাসায় তালাবদ্ধ করে চলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে। ঐ নরপিচাশ তার দু চোখের আই বলই তুলে ফেলে। চোখের পাতা গুলো ছিন্ন-ভিন্ন করে ফেলে। সূত্র দৈনিক কালের কণ্ঠ ৮ নভেম্বর ২০১৫।

৪। ক্রিকেটার শাহাদাতের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১১ বছর বয়সী এক গৃহ কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। উক্ত গৃহকর্মীকে উদ্ধারের সময় তার শরীরে নতুন, পুরাতন অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। সূত্র দৈনিক সমকাল ৫ অক্টোবর-২০১৫।

৫। লক্ষ্মীপুর জেলার জকসিন বাজারের কাছে আটিয়াতলী নামক স্থানে সি.এন.জিতে যাওয়ার সময় এক মেয়ে অপহৃত হয়। জানা যায় ১৪/১৫ বছরের এক মেয়ে বিকাল ৫ টার পর তার বোনের বাড়ী থেকে নিজের বাড়ীতে ফেরার জন্য সি এন জিতে উঠে। কিছুদুর যাওয়ার পর ৩/৪ জন যুবক ঐ সিএনজিতে ওঠে তাকে মুখ বেঁধে নিয়ে যায় এবং গণধর্ষণ করে। এছাড়াও রায়পুর, লক্ষ্মীপুরে জুলাই মাসে গৃহবধুসহ প্রায় ১০টি লাশ পাওয়া যায়। সূত্র দৈনিক ভিশন, মেঘনার পাড়, জুলাই ২০১৬

৬। সম্প্রতি রাজধানীর উইল লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা (১৫) মায়ের সাথে জামা সেলাই করতে দর্জির দোকানে এসে কাটিং মাস্টার ওবায়দুলের ঘৃণ্য লোলুপ দৃষ্টিতে পড়ে। যার ফলশ্র“তিতে গত ২৪ তারিখে রিশার স্কুলের কাছাকাছি ফুটওভার ব্রিজের কাছে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল, তার অন্যায় প্রস্তাব অস্বীকার করায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পরও শেষ রক্ষা হয়নি রিশার। ২৮ আগষ্ট সব আপনজনদের কাঁদিয়ে চলে যায় না ফেরার দেশে। পরে অবশ্য ওবায়দুল গ্রেফতার হয়। সূত্র দৈনিক সময়ের কণ্ঠস্বর ২৮ আগষ্ট ২০১৬।

তোলপাড় করা খবর খাদিজাকে হত্যার চেষ্টা। বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় তাকে। তাছাড়া কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তনু হত্যা, পুলিশের এস পি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যাসহ প্রতিনিয়ত ঘটছে কত যে হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, নির্যাতন করা হচ্ছে নারীদের তার সীমা নেই। নারীরা কোথায় নিরাপদ বলুন তো?

নারী নির্যাতনের কারণ:

নারীর প্রতি সহিংসতার কারন হিসেবে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী আয়েশা খানম বলেন, নারীর প্রতি নৈতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সমাজে নারীকে ছোট করে দেখা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাদেকা হালিম বলেন নারীর প্রতি সহিংসতার কারন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি। এছাড়াও আরও কিছু কারন আছে। যেমন:

মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয়, পারিবারিক শাসন ও শিক্ষার অভাব, লোভ, হিংসা, সংকীর্ণ মানসিকতা, নৈতিক শিক্ষার অভাব, সঙ্গদোষ

এছাড়া ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীরাও দায়ী। কিভাবে ? রাস্তায় অশালিন ভাবে চলাফেরা করা। ইদানিং তাদের পোশাক পরিচ্ছদ, আচার আচরন দৃষ্টিভঙ্গি এমন যা ছেলেদের উস্কানি দিচ্ছে। তাছাড়া নারীরা সহজেই আবেগের বা লোভের বশবর্তী হয়ে বখাটে ছেলেদের ফাঁদে পড়ছে। নির্বোধের মতো সমাজের দোহাই দিয়ে শ্বশুর বাড়ীর নির্যাতন সহ্য করছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছে।

সরকারী পদক্ষেপ::

ইতিমধ্যে নারী নির্যাতন বন্ধে সরকার ও প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করছে। বাল্য বিবাহ বন্ধে সরকারের তৃণমূল পর্যায়ের প্রশাসন খবর পেলেই তা রোধে এগিয়ে আসে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনেক বেশী উদ্বিগ্ন। তিনি সচেতনামূলক অনেক বক্তব্য দিয়েছেন এবং নির্যাতন বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতন রোধকল্পে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) আইন প্রনয়ন করেছে। এসিড নিক্ষেপ প্রতিরোধ আইন ২০১২, মানব পাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২, করা হয়েছে। সরকার নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ায় এবং অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা করে। তবুও এক্ষেত্রে সরকারের একার পক্ষে এর সমাধান করা সম্ভব নয়। যদিনা দেশের সর্বস্তরের জনগন এগিয়ে না আসে এবং নারীরা সচেতন হয়। সবার সক্রিয় প্রচেষ্টা থাকলে যে এসব অন্যায় কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব তার প্রমাণ, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামে নির্মিত প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ এলাকা। কলেজ কর্তৃপক্ষের, শিক্ষকমন্ডলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, রায়পুর প্রশাসনের সর্বাতœক সহযোগিতায় কলেজ সংলগ্ন এলাকাকে ধুমপান, ইভটিজিং ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শারমিন আলম, বর্তমান রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব লোকমান হোসেন সহ প্রশাসনিক স্তরের সকলে এক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর নিরাপদভাবে শিক্ষা গ্রহন করতে সক্ষম এবং ঐ এলাকার মেয়েরাও নিরাপদ। এভাবে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলার জনগন ও সুশিল সমাজের জনগন যদি এগিয়ে আসে এবং প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়, তবেই নারী নির্যাতন রোধ করা সম্ভব।

নারী নির্যাতন বন্ধে করনীয়::

নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হলে প্রথমত নারী ও পুরুষ উভয়েই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। লিঙ্গ সমতার প্রতি সকলের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। পুরুষরা তাদের চিন্তা চেতনার পরিবর্তন, নৈতিকতার ও চারিত্রিক দিকের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নারীকে তার যোগ্য মর্যদা দিতে হবে। মেয়েরা ঘরে এবং বাহিরে সচেতন থাকতে হবে। শালীন ভাবে ও মার্জিতভাবে চলাফেরা করবে। পিতা, মাতা তার সন্তানের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কর্মজীবীরা তাদের কর্মস্থল সম্পর্কে পূর্ব ধারনা নেয়া আবশ্যক। একজন নারী যখন বুঝবে শ্বশুর বাড়ী তার জন্য নিরাপদ নয়, তবে সে অত্যাচারিত হওয়ার কোন মানে নেই। সে হয় আইনের আশ্রয় নিবে অথবা শ্বশুর বাড়ী ত্যাগ করবে। তাছাড়া ইদানিং বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়ে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। এছাড়াও একটি পত্রিকার রিপোর্টে দেখা যায় যে, ছোট বাচ্ছাদের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে বা বাচ্ছাকে বাড়ী পৌঁছাতে গিয়ে কেউ কেউ বিপদে পড়েছে। যার তার সাথে অবাধে মেলামেশা করার ফলে ও অনেকে বিপদগ্রস্থ হচ্ছে।

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সুপারিশ::

১। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ও সচেতনতা কার্যক্রমে পুরুষের অংশ গ্রহন নিশ্চিত করা এবং প্রতিরোধ কার্যক্রমে তাদের অঙ্গীকার আদায় করা।

২। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে গৃহিত জাতীয় কর্ম পরিকল্পনাকে কার্যকর ভাবে বাস্তবায়ন করা।

৩। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের জন্য পরিবার থেকে শুরু করে কমিউনিটি ও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।

৪। নারীরা ও তাদের সম্মান বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। সদা সতর্ক থাকবে। শালীনভাবে চলবে। তবেই এই দেশ হবে সোনার বাংলা।

প্রত্যাশা::

২০১৭ সালে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি নারী নির্যাতন বন্ধ করে নারী ক্ষমতায়নের পথ প্রশস্ত করবে। বাল্য বিবাহ, পারিবারিক নির্যাতন, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ দেখবে সারা জাতি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সরকারের নির্দেশ মেনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদ্বয় ও পারিবারের অভিভাবকগন অনেক বেশী সচেতন হবে। সুশিল সমাজের সদস্যবৃন্দ আরো বেশী পদক্ষেপ গ্রহন করবে।

আসুন আমরা সবাই মিলে নারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন বন্ধে সহযোগিতা করি। তাদের সাথে কোন অন্যায় করার পূর্বে নিজেকে, নিজের পরিবারের কাউকে ঐ স্থানে দাঁড় করিয়ে দেখি কেমন লাগে। যদি সবাই নারী নির্যাতন বন্ধে এগিয়ে আসে তবে আমরা পাবো সুন্দর এক সমাজ ব্যবস্থা।

সর্বোপরি বলতে চাই, নারী তুমি সতর্ক হও, সচেতন হও, বাস্তববাদী হও, বুদ্ধি খাটাও, চোখ কান খোলা রাখো, সৎচরিত্রবান হও, অন্ধ বিশ্বাস করো না, গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিওনা। তুমি সাবধান হও। সাবধান হও। তোমাকে জাগতে হবে।

‘‘জাগো নারী জাগো’’

সবশেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুরে সুরে মিলিয়ে

‘‘বিশ্বের যা কিছু সুন্দর সৃষ্টি, চিরকল্যাণ কর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’’

লেখক: ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক, প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী কলেজ, লক্ষ্মীপুর।

মতামত | সাক্ষাৎকার আরও সংবাদ

কৃত্রিম ভুলুয়া এখন রামগতি ও সুবর্ণচরের দানব

শতবর্ষী টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা

রিপোজটরি সাইট গিটহাবে বাংলাদেশী ডেভেলোপার আরমান হাকিম সাগরের কান্ট্রিবিউশন

নিবন্ধনের জন্য প্রথমদিকে আবেদিত নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধন পেতে আর কত বছর?

স্বামীকে গলাকেটে হত্যা | ঘটনার এপিঠ-ওপিঠ

ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে বাংলাদেশেও জেন্ড সার্টিফাইড ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বাড়ছে

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Chief Mentor: Rafiqul Islam Montu, Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu.
Muktijudda Market (3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794 822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com