রামগঞ্জ প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে বিগত ১৪ বছর থেকে চলমান অভ্যন্তরীন কোন্দল ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে।এতে ১৫ আগষ্টের শোক দিবসের অনুষ্ঠান পৃথক ভাবে পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে নেতারা বলছে পৃথক অনুষ্ঠান হলেও রামগঞ্জ আওয়ামীলীগ েঐক্যবদ্ধ।
রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ৭ আগষ্ট আ’লীগের কার্যালয়ে ১৫ আগষ্ট পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।তাতে নবগঠিত কমিটির সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শাহাজান, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্ছু, সাবেক সহ-সভাপতি মনির হোসেন চোধুরী, ২ ইউপি চেয়ারম্যান, ৫ ইউপি সভাপতি/সাধারন সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ২ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।
অন্যদিকে ১২ আগষ্ট জিয়া অডিটিরিয়ামে ১৫ আগষ্ট পালন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা করেন উপজেলা আলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড.আনোয়ার হোসেন খাঁন। তাতে পৌর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আকবর হোসেন, সাধারন সম্পাদক বেলাল আহমেদ, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ও ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার শিউলী, ৮ ইউপি চেযারম্যান, ১২ জন ইউপি সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৫ শস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।কাউন্টারে ১৩ আগষ্ট সভাপতির দলীয় কার্য়ালয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভাকে কেন্দ্র করে ১৪ আগষ্ট শোক দিবস উপলক্ষে আনোয়ার খাঁনের দেওয়া ১০টি ইউনিয়ন, পৌরসভা,থানায় ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ১৪টি গরু বিতরন উপলক্ষে আরেকটি সভা করে। এভাবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীতে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করছেন অনেকে। কিন্তু নেতারা পৃথক পৃথক সভায় ঐক্যবদ্ধ আছে বলে দাবী করলেও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীর দ্বারা তৃণমূলে অভ্যান্তরীন কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।
স্থানীয় কয়েক নেতা জানান, ১৪ বছর আগে ( ২০০৩ সালে) উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শাহাজান ও সফিক গ্রুপের মাঝে অভ্যন্তরীন কোন্দলের পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে আরো ২টি গ্রুপ তৈরী হলেও তা অপ্রকাশ্য ছিল। গত ১৫ জুলাই সম্মেলনে গঠিত বর্তমান কমিটির সভাপতি সাবেক ওই গ্রুপ নেতাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আ’লীগ দাবী করলেও বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ড.আনোয়ার খান বর্তমান কমিটির সধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আকম রুহুল আমিন, পৌর কমিটির কয়েকজন নেতা,উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী সুরাইয়া আক্তার শিউলী, কৃষকলীগের সভাপতি আবুল কাশেম মাষ্টার , দলীয় ৮ ইউপি চেয়ারম্যান, ১০ ইউনিয়নের ১৮ জন সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আ’লীগ দাবী করে। ভাদুর ইউপি সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন ভূইয়াসহ কয়েকজন নেতা বর্তমান সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টুকে দায়ী করে বলেন, তিনি সভাপতি হওয়ার পর থেকে তৃণমূল আ’লীগের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না করে, বর্তমান তরিকতের এমপি লায়ন এম এ আউয়ালকে নিয়ে বৈঠক করে রামগঞ্জের তরিকতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নৌকা অন্য কারো হাতে দেখতে চায় না।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা ও কেন্দ্রীয় আ’লীগের উপ কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাইনু বলেন, একমাত্র অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে রামগঞ্জ আসনটি আ’লীগের জন্য সম্ভাব্য একটি আসন হলেও ৪২ বছর যাবত পর্যন্ত আসনটি হাত ছাড়া হয়ে আছে। সিনিয়র নেতারা ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা শেখ হাসিনাকে এ আসনটি খুব সহজে উপহার দিতে পারবো।
সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের লোকজনের নির্দেশে রামগ্েঞ্জর আ’লীগের জন্য কাজ করছি, প্রধানমন্ত্রী না করার নির্দেশ দিলে করবো না। কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘোষনা দেওয়া পদ যদি কেউ কেড়ে নিতে চায় তাও নিয়ে যাক, তবুও আমি আ’লীগের একজন সদস্য হয়ে কাজ করছি সামনের দিকে করে যাব। কেউ আমাকে ধরে রাখতে পারবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি থাকবো।
উপজেলা সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু বলেন, রামগঞ্জের আ’লীগের মধ্যে কোন অনৈক্য, গ্রুপিং নেই, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি।
0Share