নিজস্ব প্রতিনিধি : অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, সংস্কারের অভাব ও ভারি বর্ষণের কারণে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী-চাঁদপুর-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের লক্ষ্মীপুর অংশের চল্লিশ কিলোমিটারে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে।এতে জনদুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
এছাড়া দুই পাশের মাটি সরে যাওয়ায় ওই মহাসড়ক যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ১৯টি জেলার মানুষ ওই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন। মহাসড়কের বেহাল দশার কারণে বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা যানবাহনে যাতায়াত করছেন। ভুক্তভোগীরা জানায়, দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে নৌ-রুট দিয়ে লক্ষ্মীপুর হয়ে যাতায়াত করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের প্রায় ১৯ জেলার মানুষ। নৌ-রুটে যাতায়াতের পূর্বে ওইসব জেলার মানুষের বাণিজ্যিক যোগাযোগের একমমাত্র সড়কপথ হলো লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী-চাঁদপুর-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়ক। প্রতি বছর সমস্যা সমাধানে সংস্কার কাজ করলেও কিছুদিন না যেতেই তা আবার বেহাল দশায় পরিণত হয়।
সরেজমিন লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, বাস, ট্রাক সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলছে হেলেদুলে,স্থানীয়দের মতে চলাচলের অনুপোযোগী একটি সড়কের নাম লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়ক। বহুস্থানে উঠে গেছে পিচ ঢালাই, ৫ থেকে ৬টি স্থান ধেবে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জেলার রায়পুর শহর থেকে শুরু করে পুরো সড়ক জুড়ে ছোট বড় খানাখন্দ ত আছেই, বিশেষ করে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এলাকা চরম খারাপ। অতিবৃষ্টি আর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কটির এমন বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।
এসব স্থানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী, রোগী ও চালকরা সীমাহীন দুর্ভোগে চলাচল করছেন বলে জানান।
এদিকে বেহাল সড়কের কারণে জেলার ব্যবসা বাণিজ্যের উপরও প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। পণ্যবাহী যানবাহনও আসতে চাইছে না এখন। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পণ্য আনলেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন জানিয়ে দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। না হলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বণিক সমিতির এ নেতা। আর সচেতন মহল মনে করছেন, বেহাল সড়কের কারণে বর্তমান সরকারের সকল অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খুব দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি এখন সবার।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদের জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প পাশ করেছে সরকার। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার এলাকায় রাস্তার দুই পাশ বাড়ানোসহ সংস্কার কাজে ৫২ কোটি ২০লাখ টাকার প্রকল্প ও আরো ২০কিলোমিটার সংস্কার কাজে ৬০ লাখ টাকার প্রকল্প পাশ হয়েছে। অতি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে।
0Share