কাজল কায়েস: রক্তারক্তির পর অবশেষে তাঁদের মধ্যে সম্প্রীতির বোধোদয় হয়েছে। বলা হচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাসের কথা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘সম্প্রীতি বৈঠক’-এ তাঁরা অঙ্গীকার করেছেন, ভেদাভেদ ভুলে এখন থেকে দলের জন্য এক হয়ে কাজ করবেন। জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ দুই নেতা ও তাঁদের অনুসারীরা মুখোমুখি ছিল। সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতিতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুুনে তাঁদের কোনো যৌথ ছবি দেখা যায়নি। চন্দ্রগঞ্জ, কমলনগর, রামগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মিছিল-পাল্টামিছিল হয়েছে। সম্প্রতি সভাপতি সোহেলের বিরুদ্ধে মিছিল করে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাইন উদ্দিন ও তাঁর দুই সহযোগী। তাঁরা লোটাসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। হামলাকারীরা সোহেলের ঘনিষ্ঠজন ছিল বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সদরের হাজীরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান শাকিলের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আট নেতার নামে মামলা হয়। এর জেরে মান্দারীতে সভাপতি সোহেলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। তারাও লোটাসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি জেলা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরোধ চরমে পৌঁছে। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। সর্বশেষ গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের সোহেল-লোটাসকে নিয়ে চার ঘণ্টার সম্প্রীতি বৈঠক করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জরুরি সভা করা হয়। এ সময় নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তগুলো জানিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেন সভাপতি ও সম্পাদক। অন্যদিকে ছাত্রলীগের জেলা কমিটির ১৬৬ সদস্যের মধ্যে ২১ জন বিবাহিত থাকলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু মাহবুবুর রহমান রিপন অব্যাহতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক লোটাস বলেন, ‘দলের বৃহৎ স্বার্থে আমরা অতীতের সব ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করব। যদিও নিজেদের মধ্যে গ্রুপিংয়ের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাব। ’
0Share