নিজস্ব প্রতিনিধি: উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবহেলায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া মহাদেশের অন্যতম মৎস্য প্রজনন প্রশিক্ষন কেন্দ্রের দুর্বৃত্তদের বিষ প্রয়োগে একটি পুকুরের প্রায় ৩০টি মা মাছের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হলে ঈদকে কেন্দ্র করে দর্শনীয় স্থান হিসেবে জনসাধারন প্রবেশ করতে চাইলে তাদের ডুকতে না দেওয়ায় স্থানীয়দের হামলার শিকার হন নিরাপত্তা প্রহরী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শহরের কাঞ্চনপুর গ্রামে অবস্থিত মৎস্য প্রজনন প্রশিক্ষন কেন্দ্রে। এছাড়াও স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে, রাতের আধারে স্থানীয় বখাটে ও মাদকসেবীরা আড্ডায় মেতে থাকে। কর্মকর্তারা জানলেও রাতে তারা বাসা থেকে বের হয়ে কোন পদক্ষেপ নেন না।
সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের দুইজন কর্মকর্তা জানান, ১৯৮২ সালে ৫৪ একর সম্পত্তির মধ্যে ১০১টি পুকুর খনন করে তাতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ ও মৎস্য প্রজনন প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সমস্যার কারণে বর্তমানে ৬৮টি পুকুরে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এ হ্যাচারি থেকে রেনুপোনা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ অন্যদেশেও রপ্তানী করা হয়। এবছরের রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রা ৫৭ লক্ষ।
রায়পুর কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় এ কেন্দ্রটিকে জনসাধারণ দর্শনীয় স্থান হিসেবে প্রতিদিন বিকেলে প্রদর্শনে আসে। ঈদ উপলক্ষ্যে জনসাধারনের মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কে বা কারা মা মাছ সংরক্ষিত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করলে প্রায় ২০টি মা মাছ মারা যায়। এতে হ্যাচারির প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এ কারণে জনসাধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া স্থানীয় ৫ বখাটে যুবক নিরাপত্তা প্রহরীকে ইট পাটকেল ছুড়ে আহত করে। পরে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে রাতেই তাদেরকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সুপারিশে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার বলেন, সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি পর্যটন স্পর্ট নয়, এটি সংরক্ষিত প্রতিষ্ঠান। এতে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। বিষ প্রয়োগে অনেকগুলো মা মাছ মারা যাওয়ায় আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
0Share