রায়পুর প্রতিনিধি: উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ নেই। ৫১ সদস্যের পরিবর্তে দেয়া হয়েছে ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি। পৌর কমিটি নেই গত ৪ বছর। কমিটির জন্য কেন্দ্রে পৃথক ২টি তালিকা দিলেও তার কোন খবর নেই। উপজেলার ১টি ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলেও অন্য ৯টিতে কমিটি নেই। এ নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ও পৌর যুবলীগের নেতা কর্মীদের মাঝে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। অন্যদিকে দলে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। কবে কমিটি হবে কেউ তা বলতে পারছে না।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ৩০ মে জেলা পরিষদের সদস্য মঞ্জুর হোসেন সুমনকে আহ্বায়ক, আবু সাঈদ শাকিল চৌধুরী ও ইউসুফ আজম সিদ্দিকীকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২৫টি সদস্যের ১টি আহ্বায়ক কমিটি লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও এসেনসিয়াল ড্রাগসের পরিচালক প্রফেসর ডা. এহসানুল কবির জগলুলের মাধ্যমে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। ২০১৪ সালে ১৮ জানুয়ারি পৌর যুবলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এতে কমিটি দেওয়ার জন্য মাহাবুবের রশিদ (মুক্তার), মোঃ আবু সাইদ ঝুটন ও গণি পাটওয়ারী এবং আবু সাইদ জুটন ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মারুফ বিন জাকারিয়ার পৌর যুবলীগের কমিটি দেওয়ার জন্য পৃথক ২টি তালিকা জমা দেওয়া হয়। কিন্তু আজও পৌর কমিটি দেয়া হচ্ছে না। এদিকে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কয়েকদিন আগে হলেও অন্য ৯টি ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন যুবলীগের পদ প্রত্যাশী নেতা জানান, উপজেলা কমিটি নেই দীর্ঘ দিন। পৌর যুবলীগের কমিটি নেই ৪ বছর। ৯ ইউনিয়নে কমিটি নেই। কমিটি না হওয়ায় নেতা কর্মীরা হতাশ হয়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে আ’লীগে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। এতে কর্মীরা কার পক্ষে সাংগঠনিক কাজ করবে সেটা নিয়েও দ্বিধাবিভক্তিতে রয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মঞ্জুর হোসেন সুমন জানান, ৯০ দিনের জন্য ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়। ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করলেও কোন সাড়া পাচ্ছি না। উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির পর ১০টি ইউনিয়নে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দেয়া হয়। প্রতি মাসে প্রতিটি ইউনিয়নে সভা সমাবেশ করা হচ্ছে। জেলা কমিটির সম্মেলন ছাড়া উপজেলা কমিটি দেওয়া হবে না বলে নেতারা জানান।
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ বায়েজীদ ভূঁইয়া জানান, আগামী ৩০ নভেম্বর যুবলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনের পরে উপজেলা ও পৌর কমিটি দেওয়া হবে।
0Share